সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

অন্ধকারে দাঁ’ড়ি’য়ে ছিলো বি’প’দ, সামনে আসতেই তুলে আ’ছা’ড় দি’লো গজরাজ

চা-শ্রমিক এবং চা-বাগানের কিশোর রাস্তায় সামনে পড়তেই শুঁড়ে পেঁচিয়ে ছুঁড়ে ফেলল হাতি। এই ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন ২ জন। আহতদের নাম সঞ্জিত নাগাসিয়া এবং অমন মুন্ডা। এই দু’জন সাইকেলে করে বাড়ি ফেরার পথে হাতির পালের সামনে পড়ে যায় । আর তাতেই বিপত্তি বাঁধে। ঘটনাটি মালবাজার ব্লকের ওদলাবাড়ি চা-বাগান সংলগ্ন বাবুজোত এলাকার ঘটনাটি ।জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে সাইকেলে করে রাজ্য সড়ক ধরে বাড়ি ফিরছিলেন সঞ্জিত নাগাসিয়া ও অমন মুন্ডা।

চা-বাগানের অ্যাম্বুলেন্স চালক রোহিত ওঁরাও এবং ওদলাবাড়ি চা-বাগানের বাসিন্দা রঞ্জন কামি জানিয়েছেন, শনিবার রাতে দুটি সাইকেলে করে মোট ৫ জন চা-বাগানের যুবক বাবুজোত থেকে ওদলাবাড়ি চা-বাগান শ্রমিক আবাসনে ফিরছিলেন। সেইসময় আচমকা বাবুজোত সংলগ্ন রাজ্য সড়কের জোড়াপুলের ওপর দিয়ে এক পাল হাতি রাস্তা পারাপার করতে শুরু করে। অন্ধকারে কেউই প্রথমে হাতির দলকে ঠাওর করতে পারেনি। হাতির পালের সামনে পড়ে যায় সাইকেল আরোহীরা।

তখনই চা-বাগানের শ্রমিক সঞ্জিত নাগাসিয়া এবং তাঁর সঙ্গী যুবককে হাতি ধরে ফেলে। সঞ্জিত নাগাসিয়াকে শুঁড়ে পেঁচিয়ে তুলে ছুঁড়ে ফেলে হাতি। আর সাইকেলটিকে ভেঙে ফেলে। তবে সঙ্গী যুবক কোনওরকমে পালিয়ে বাঁচে। ওদের পিছনের সাইকেলেই ছিলেন অমন মুন্ডা সহ ৩ জন। বাকিরা পালিয়ে গেলেও অমন মুন্ডাকে হাতি শুঁড় পেঁচিয়ে তুলে আছাড় মারে। আহতদের চিৎকারে স্থানীয় চা-শ্রমিকরা ছুটে আসেন।

প্রথমে ওদলাবাড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় আহতদের উদ্ধার করে। পরে সেখান থেকে তাঁদেরকে শিলিগুড়িতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। ওদিকে হাতির দলটি এখনও চা-বাগানের মধ্যে দাঁড়িয়ে। দলে ৩০ থেকে ৪০টি হাতি রয়েছে। হাতির দলটি তারঘেরা জঙ্গল থেকে এসেছিল বলে জানা গেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন তারঘেরা বন দফরের কর্মীরা। হাতির পালটি যাতে কোনওভাবে জনবসতি এলাকায় ঢুকে না পড়ে, তাই পাহারা দিচ্ছেন বন দফতরের কর্মীরা। আতঙ্কিত স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মাঝেমধ্যেই এলাকায় চলে আসছে হাতির দল। ফলে চরম আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটছে তাঁদের।