সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

DA মামলায় ডা’হা মি’থ্যা কথা বলেছে রাজ্য সরকার, নবান্নের বি’রু’দ্ধে ক্ষো’ভ সরকারি কর্মীদের

এই রাজ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ – এর টাকা বাকি রেখেছেন রাজ্য সরকার এই অভিযোগ অনেকদিন ধরেই উঠেছিল। অনেক অনুরোধে কাজ না হলে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের দল মামলা করে দেন কোর্টে। আর সেই কোর্টের রায় অনুযায়ী গত ২০ মে কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল যে, তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ৩১ শতাংশ ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে। কিন্তু সেই সময়সীমা শেষ হওয়ার সপ্তাহদেড়েক আগে রিভিউ পিটিশনের আপিল করে রাজ্য। কিন্তু এই মঙ্গলবার রাজ্য সরকার হলফনামা পেশ করে দাবি করেন যে, সরকারি কর্মচারীদের কোনও ডিএ নাকি নাকিবার বাকি নেই । আর এই খবর শোনার পরই সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন সরকারি কর্মচারীরা।

যে যা পারে বলতে শুরু করেন। তাঁদের বাকি থাকা মহার্ঘোভাতা মোটেই এখনও মেটানো হয়নি বলে জানান তারা। সেই সঙ্গে এই রাজ্য সরকারকে মিথ্যেবাদী সরকার বলতেও বাকি রাখেন নি তাঁরা। রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটির সম্পাদক বিজয়শংকর সিং বলেন, ‘মিথ্যা হলফনামা পেশ করেছে রাজ্য। নির্ভেজাল মিথ্যে ছিল, আমরা ধিক্কার জানাচ্ছি। আমরা আগেও বলেছি, এখনও বলছি, মহার্ঘ ভাতা আমাদের নায্য এবং আইনি অধিকার।’

তাই তাঁদের আন্দোলন কোনো ভাবেই থামবে না সেই ইঙ্গিতই দিয়েছেন তিনি। তিনি আরো বলেন যে গত ৩০ আগস্ট রাজ্যজুড়ে কর্মচারী, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীরা দু’ঘণ্টার কর্মবিরতিতে যোগ দিয়েছিলেন এই কারণেই। একটা বৃহত্তর আন্দোলন হয় সেদিন। দার্জিলিং থেকে কাকদ্বীপ অবধি রাজ্য সরকারের এই বঞ্চনার প্রতিবাদে সোচ্চার হন সকলে। কিন্তু এত কিছুর পরেও যদি রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ইতিবাচক উত্তর না পান তাঁরা তাহলে এই আন্দোলন চলবে।

আরো পড়ুন: বাজারে বি’ক্রি শু’রু হয়েছে বাংলাদেশি ইলিশের, দা’ম ক’ত জেনে নিন

আরো বড়ো আন্দোলন হবে। আর তাঁর জন্য দায়ী থাকবে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার। তবে শুধু তিনি নন এই একই প্রতিবাদে গর্জে ওঠেন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায়ও। তিনি এই রাজ্য সরকারকে মিথ্যেবাদী সরকার বলতেও ছাড়েন নি।

তিনি বলেন, ‘ এই সরকার যদি এই ধরণের মন্তব্য করে থাকে, তাহলে বলব যে সম্পূর্ণ মিথ্যা তথ্য দিয়ে আদালতকে অবমাননা করছে রাজ্য সরকার। ভবিষ্যতে এই সরকারকে আর কেউ বিশ্বাস করবেন না। কীভাবে একটা রাজ্য সরকার আদালতে মিথ্যে বলতে পারে, সেটা ভেবেই আমরা অবাক হয়ে যাচ্ছি। আদালত যদি আমাদের থেকে হলফনামা তলব করে, তাহলে আমরা পুরো তথ্য দিতে তৈরি আছি।’