সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

মিড ডে মিলে প্রা’য় ১০০ কোটি টাকার দু’র্নী’তি! কি বললেন ব্রাত্য বসু?

যত দিন এগিয়ে আসছে ভোটের তত এক এক করে বিরোধী দল গুলি শাসক দলের কাজের ভুল ভ্রান্তি বের করে আনছে। নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে যা যা সামনে এসেছে তাতে শাসক দলের মর্যাদা যথেষ্ট ক্ষুন্ন হয়েছে কিন্তু এখানেই শেষ নয় এবার সরকারি স্কুল গুলোয় যে মিড ডে মিল দেওয়া হয় সেই নিয়ে পড়েছে কেন্দ্র। অভিযোগ আনা হয়েছে যে এই মিড ডে মিলে প্রায় একশো কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে। তবে শাসক দলও চুপ নেই।

এই নিয়ে এবার এই রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সরব হয়েছে। কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলার মিড ডে মিলের পরিসংখ্যানে গরমিল পাওয়া গিয়েছে। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর কথায়, “এটা কেন্দ্রের দ্বিচারী মনোভাব।” রাজ্যের প্রতিনিধিকে না জানিয়েই এই রিপোর্ট কেন্দ্রের কাছে জমা করা হয়েছে বলে মন্তব্য ব্রাত্য বসুর।

একটি বিবৃতি দিয়ে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “জয়েন্ট রিভিউ মিশন রাজ্য সরকারের একমাত্র প্রতিনিধি, কুকড মিড ডে মিলের সই ছাড়াই এই রিপোর্টটি জমা দিয়েছে। সেই রিপোর্ট যদি রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিকে দেখানো পর্যন্ত না হয়, তাহলে জয়েন্ট রিভিউ মিশিন অর্থাৎ যৌথ পর্যালোচনা কমিটির ‘যৌথ’তা কোথায় রইল?” শিক্ষামন্ত্রীর স্পষ্ট বার্তা, রাজ্য সরকারের বক্তব্য এই রিপোর্টে যথাযথভাবে স্থান পায়নি।

আরো খবর: ডি’ভো’র্স না হলেও কাছে পাননি স্বামীকে, ৮২ বছর বয়স হলেও একাই দিন কা’টা’চ্ছে’ন কিংবদন্তি সন্ধ্যা রায়

ব্রাত্য বসুর প্রশ্ন, “এই লুকোচুরি খেলার কী উদ্দেশ্যে? যদি না এক মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের অন্য কোনও অভিসন্ধি থাকে? অর্থাৎ তিনি তাদের দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চাওয়ার জন্যই এমন অভিযোগ বার বার করা হচ্ছে বলে মনে করেছেন। তবে পরিসংখ্যানগত হিসেবে গরমিল নিয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করেননি। ব্রাত্য বসুর কথায়, “প্রচুর তথ্য এবং সংখ্যা আছে, যা যাচাই না করে প্রতিক্রিয়া দেওয়া অসম্ভব।”

তিনি আরো বলেন যে, এই কাজ যাদের তাদের সঠিক রিপোস্ট সামনে এলেই সবটা পরিষ্কার হয়ে যাবে। তিনি বলেন, “CAG ২০২১-২২ অর্থবর্ষ পর্যন্ত তাদের অডিট সম্পূর্ণ করেছে। যার মধ্যে এই ধরণের কোনও প্রতিক্রিয়া আমরা পাইনি। আমরা জয়েন্ট রিভিউ মিশনের রিপোর্টটা পাই বা না পাই , বিশদে এর জবাব পাঠাব।”

শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, ভারতের মোট ১২ কোটি ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ১.২ কোটি ছাত্রছাত্রী মিড ডে মিলের পরিষেবা পায়। যার অডিট রাজ্যজুড়ে করেছে CAG। কাজেই তাদের রিপোর্টের অপেক্ষায় থাকা যাক।”
অর্থাৎ সামনে ভোট আসন্ন তাই কোনো দলই নিজেদের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চাইছেন না। তাই কেন্দ্রের এত বড় অভিযোগকে কোনো ভাবেই মেনে নিলেন না শাসক দল। এবার শেষ অবদি কি রিপোর্ট সামনে আসে সেটাই দেখার।