সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

লিংকে ক্লি’ক করলে মোবাইলের স্ক্রিনে ঝিকিমিকি আ’লো, গা’য়ে’ব টা’কা!

আধুনিক এই স্মার্টফোনের যুগে অনলাইন লেনদেন করতে গিয়ে প্রতারণার সম্মুখীন হচ্ছেন বহু মানুষ। এমনকি শিক্ষক-শিক্ষিকাদের থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ, কেউই এই প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না। সম্প্রতি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপিকার সঙ্গে যে ঘটনা ঘটলো তাতে কার্যত থ বনে গিয়েছেন নেটিজেনরা। মাত্র একটি লিঙ্কে ক্লিক করলেই ফোন হ্যাক হয়ে যাচ্ছে। আলোর বন্যা বয়ে যাচ্ছে ফোনে। লাল সবুজ রকমারি রংয়ের অক্ষর ফুটে উঠছে স্ক্রিনে।

এভাবেই এক অধ্যাপিকাকে ফাঁদে ফেলে তার দুটি অ্যাকাউন্ট থেকে 5 লক্ষ টাকা গায়েব করে নিল প্রতারকরা। অধ্যাপিকা জানিয়েছেন তার মোবাইলের ট্রু কলারে তার বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ফুটে উঠেছিল। তাই দিকে তিনি বিশ্বাস করেছিলেন। তাছাড়া ওই প্রতারক অধ্যাপিকা এবং তার কলিগদের সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জোগাড় করেছিল। কেওয়াইসি আপডেট করানোর কথা বলে ভুলিয়ে তার বিশ্বাস অর্জন করে তাকে দিয়ে লিংকে ক্লিক করানো হয়। তারপর যেন মন্ত্র বলে তার মোবাইল থেকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধেই টাকার লেনদেন শুরু হয়ে যায়।

ওই অধ্যাপিকা তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেছেন। লালবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি জানাচ্ছেন তার একটি ব্যাংক থেকে চার লক্ষ 33 হাজার চারশো চার টাকা এবং অন্য একটি ব্যাংক থেকে 42 হাজার টাকা উধাও হয়েছে। পুলিশ এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জানাচ্ছে লিংকে ক্লিক করলেই মিরর অ্যাপ স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডাউনলোড হয়ে যায়। তারপর আর ফোনের উপরে মালিকের কোনো হাত থাকে না।

এভাবেই মোবাইল হ্যাক করে ওই অধ্যাপিকাকে ঠকানো হয়েছে। তাহলে উপায়? সাইবার বিশেষজ্ঞদের মতে বহু সরকারি এবং বেসরকারি ব্যাংকের নিজস্ব অ্যাপ্লিকেশন থাকে। সেই অ্যাপ্লিকেশনে উল্লেখ করা থাকে গ্রাহক দিনে কত টাকা লেনদেন করতে পারেন। সেই অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করা থাকলে গ্রাহক দিনে কম টাকা লেনদেন করতে পারবেন। কাজেই মোবাইল হ্যাক করলেও কেউ বেশি টাকা হাতাতে পারবে না। এতে জালিয়াতি রুখবে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।