বিয়ের পর বছরের পর বছর অপেক্ষা করছেন, অথচ সন্তানের মুখ দেখতে পারছেন না। এই সমস্যা এখন বাঙালির ঘরে ঘরে পৌঁছে গিয়েছে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যক্ষের সঙ্গে এক চিকিৎসকের যৌথ গবেষণা রিপোর্টে মিলেছে এই ভয়াবহ তথ্য। এই তথ্যে উল্লেখ করা হয়েছে, বাঙালি পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর পরিমাণ ক্রমাগত কমছে। যে কারণে বছরের পর বছর পেরিয়ে গেলেও সন্তানের জন্ম দিতে পারছেন না তারা।
এর পেছনে কারণ হিসেবে বাঙালি যুবকদের অতিরিক্ত ধূমপান এবং মাদকের প্রতি আসক্তিকেই দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা জানাচ্ছেন অত্যধিক মাদকের প্রতি আসক্তি এবং ধূমপানের প্রবণতা কার্যত বাঙালি পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর পরিমাণ দিনে দিনে কমিয়ে দিচ্ছে। এই গবেষণার জন্য গবেষকেরা এমন ৪০০ জন দম্পতির উপর গত চার বছর ধরে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
কনডোম বা কোনও জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার না করলেও এক বছর শারীরিক সম্পর্কের পরেও তারা গর্ভধারণে অসমর্থ হয়েছেন। উল্লেখ্য একবিংশ শতাব্দিতেও বাঙালি ঘরে সন্তানের জন্ম না হলে সাধারণত মহিলাকেই দায়ী করা হয়। তবে এ ক্ষেত্রে ব্যাপারটা সম্পুর্ন উল্টো। এই গবেষণার রিপোর্ট কার্যত চোখে আঙ্গুল দিয়ে স্পষ্টভাবে দেখিয়েছে যে সন্তানের জন্ম না হওয়ার পেছনে ৫০ শতাংশ দায়ী পুরুষ।
এর পেছনে কারণ হিসেবে মদ এবং সিগারেটের পাশাপাশি দুশ্চিন্তা, ফাস্ট ফুড, কফিকেও দায়ী করেছেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতি মিলিলিটারে শুক্রাণুর সংখ্যা ১৫ মিলিয়ন বা দেড় কোটির কম হলেই গর্ভধারণে সমস্যা দেখা দিতে পারে।