২০২১ সালের ২ মে বিধানসভা ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই বাংলার চিত্রটা অনেকটা বদলে গেছে। একুশের নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর থেকেই ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’ ঘটছে। একটি দল আরেকটি দলের উপর নানা রকমের অভিযোগ করেই চলেছে এভাবেই বাংলার রাজনীতি বর্তমানে উত্তপ্ত অবস্থায় রয়েছে। আর এর মধ্যেই শুরু হয়েছে এক নতুন সংযোজন।
এই রাজ্যের জনসাধারণ থেকে শুরু করে চাকরি পার্থীরা ও বিরোধী দলের নেতারা শাসক দলের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দায়ের করে চলেছেন হাইকোর্টে। আর সেই কারণেই তদন্ত করতে করতে একের পর এক দুর্নীতি মূলক কাজের সন্ধান মিলছে। আর সেরকমই এক কারণ বশত গোপালপুর কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক অদিতি মুন্সীর স্বামী তথা তৃণমূল কাউন্সিলর দেবরাজ চক্রবর্তীকে তলব করল সিবিআই।
প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, কেষ্টপুরে বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পরের দিনই কেষ্টপুরের বাসিন্দা প্রসেনজিৎ দাসের ঝুলন্ত দেহ পাওয়া যায়। আশঙ্কা করা হয় পার্টির ছেলেদের যোগ আছে এই মৃত্যুতে। আর তার মৃত্যুটা শেষ অবধি রহস্যই থেকে যায়। আর সেই কারণেই মঙ্গলবার তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন: গুরুত্বপূর্ণ ত’থ্য! জ’ন্ম শংসাপত্রের সঙ্গেই মি’ল’বে সন্তানের আধার কা’র্ড!
দেবরাজকে কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করতেই তলব করা হয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে আপাতত। তবে দেবরাজই প্রথম নন এর আগে কোনো রকম অসঙ্গতি ধরা পড়লেই সিবিয়াই তলব করেছেন একের পর এক হেভি ওয়েট তৃণমূল নেতাদের। আর তাদের প্রশ্নের সঠিক উত্তর না দিতে পারলেই বা উপযুক্ত প্রমাণ দিতে না পারলেই সিবিআই এর হাত থেকে কারো রেহাই মেলে নি।
প্রাক্তন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে অনুব্রত মন্ডল এবং মানিক ভট্টাচার্য সকলকেই হাজিরা দিতে হয়েছে। তবে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে যে, দেবরাজ ইতিমধ্যেই হাজিরা দিয়েছেন সিজিও কমপ্লেক্সে। তবে শেষ অবদি কি হতে চলেছে তার জন্য এখনই জানা যায়নি বলেই খবর।