সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

ফাঁ’কা OMR শিট, চাঞ্চল্যকর রি’পো’র্ট জমা করলো CBI, পদত্যাগের নি’র্দে’শ দি’লো হাইকোর্ট

ফের নয়া চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এলো এসএসসি দুর্নীতির মামলায়। পেশ করা হল সিবিআই য়ের তরফ থেকে ফরেনসিক রিপোর্ট। যেই রিপোর্টেই উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য রিপোর্টে স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে যে অকৃতকার্য প্রার্থীদের কিভাবে এসএসসির সার্ভারে প্রাপ্ত নম্বর বদল করা হয়েছে প্রায় ৩৪৮১ জনের নাম্বার বদল হয়েছে। সেই সমস্ত প্রার্থীদের মধ্যে কেউ শুন্য পেয়েছে তো কেও এক। সিবিআই এর তরফ থেকে জানা গেছে এসএসসি সার্ভার রুম থেকে পাওয়া গেছে তিনটি হার্ডডিক্স এবং সেই সমস্ত হার্ডডিক্স এই দেখা গেছে সেই সমস্ত প্রার্থীদের নাম্বার যারা ০ অথবা এক পেয়েছে।

হাইকোর্টে সিবিআই এর তরফ থেকে চারটি রিপোর্ট পেশ করা হয়, যেখানে গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, এলএলএসটি এবং একাদশ-দ্বাদশ এবং এস এসএসটি নবম-দশম শ্রেণীর ক্ষেত্রে নিয়োগ সংক্রান্ত রিপোর্ট। এতদিন পর্যন্ত অভিযোগ করা হচ্ছিল নম্বর অদল বদলের তারই এবার তথ্য সহ প্রমান পাওয়া গেল এই রিপোর্টের মাধ্যমে একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণী শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে দেখা গেছে ৯০৭ জন প্রার্থীর নাম্বার বদল করা হয়েছে এবং যার মধ্যে প্যানেলে নাম রয়েছে ৬৩১ জনের অন্যদিকে নবম-দশম শ্রেণীর ক্ষেত্রে নম্বর বদলানো হয়েছে ৯৫২ জনের করা হয়েছে।

সমস্ত উত্তরপত্রের স্ক্যান করা কপি যেখানে দেখা যাচ্ছে প্রার্থীরা কেউ এক পেয়েছে তো কেও, শূন্য সুতরাং বোঝা যাচ্ছে তারা ফেল করেছে অথচ সার্ভারে তাদের প্রাপ্ত নম্বর দেখার চেয়ে ৫০/৭০‌। এমনকি দেখা গেছে ফাঁকা ওএমআর শিট ও জমা দেওয়া হয়েছে যেখানে নাম্বার বসিয়ে দেওয়া হয়েছে ৫৩ সুতরাং সবকিছু মিলেই বোঝা যাচ্ছে সিবিআইয়ের রিপোর্টের বড়োসড়ো তথ্য প্রমাণ মিলেছে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের।

আরো পড়ুন: অগ্নিবীর নি’য়ো’গ হবে ইন্ডিয়ান এয়ার ফো’র্সে, জানুন সব খুঁটিনাটি

এতদিন পর্যন্ত প্রমাণ মিলেছে যে দুর্নীতি শিখর কতটা গভীরে গেছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সাথে সাথে যে শিক্ষা দপ্তর ওই বিষয়ে জড়িয়ে রয়েছে তারও প্রমাণ সুনিশ্চিতভাবেই মিলেছে। আদালতে এই রিপোর্ট পেশ হওয়ার পরেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানান,” তিনি শকড”, অন্যদিকে সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান,” তিনি স্পিচলেস”।

এই পরেই আদালতের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সেই সমস্ত চাকরিপ্রার্থীদের হুঁশিয়ারি দেন, যারা প্রতারণার মাধ্যমে চাকরি পেয়েছেন তাদের উদ্দেশ্যে জানিয়ে দেন,” আমি পরিষ্কার করে বলে দিতে চাই, বেআইনি ভাবে চাকরি পাওয়া প্রার্থীরা তাদের চাকরি পরবর্তীকালে হারাবেন। নিজে থেকেই তারা পদত্যাগ করেন তো খুবই ভালো আদালত তাহলে কোনরকমে পদক্ষেপ করবে না, কিন্তু যদি তারা সেটা না করে তাহলে অন্য ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

যারা পদত্যাগ করবেন না তারা যাতে ভবিষ্যতে অন্য কোন সরকারি চাকরি যাতে না পেতে পারেন সে ব্যবস্থাও করে দেব। যারা পদত্যাগ করবেন, তাহলে বুঝবো যে তারা বুঝতে পেরেছেন। কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।” সঞ্জয় মন্ডল এর নাম উল্লেখ করে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানান যে,” একজন সঞ্জয় মন্ডল। জানিনা কোথায় তিনি এখন কাজ করছেন। তার পদত্যাগ অবশ্যই করা উচিত”।