সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

বড়ো খবর: আগস্টের প্রথম থে’কে’ই চ’ল’তে পারে লো’কা’ল ট্রেন!

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে দীর্ঘ প্রায় দুই মাসের বেশি সময় ধরে লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। লোকাল ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকার কারণে নিত্যযাত্রীদের চূড়ান্ত ভোগান্তির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। যে ক’টি স্টাফ স্পেশাল ট্রেন চালানো হচ্ছে তাতে সাধারণ মানুষের ওঠার কোনো অনুমতি নেই। যে কারণে নিত্যদিন স্টেশনে ট্রেনে ওঠা নিয়ে রেল পুলিশের সঙ্গে সাধারণ যাত্রীদের বচসা বাঁধে। সাধারণের চাহিদার কথা মাথায় রেখে রেল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে বারংবার কেন্দ্রের কাছে লোকাল ট্রেন চালানোর অনুমোদন চাওয়া হচ্ছে।

তবে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে রাজ্য সরকার এ পর্যন্ত লোকাল ট্রেন চালু করার পক্ষে অনুমোদন দেয়নি। সম্প্রতি করোনা সতর্কতাবিধি মেনে চলার মেয়াদ আগামী ৩১শে জুলাই পর্যন্ত বাড়িয়েছে রাজ্য সরকার। রেল কর্তৃপক্ষের আশা, আগস্ট মাসের শুরুতেই হয়তো লোকাল ট্রেন চালানোর পক্ষে অনুমোদন দেবে রাজ্য সরকার। সেইমতো রেলের তরফ থেকে জোর প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে।

রেল কর্মীদের টিকাকরণ সম্পন্ন হয়েছে। রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষ তার মনে করছে পশ্চিমবঙ্গে এখন লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু হলে তাতে বিপদের আশঙ্কা নেই। অতএব রাজ্যের তরফ থেকে অনুমোদন মিললেও মিলতে পারে। উল্লেখ্য বর্তমানে পূর্ব রেলের ৯৮ শতাংশ এক্সপ্রেস ট্রেন চালু হয়ে গিয়েছে। শিয়ালদহ শাখায় ৫০ শতাংশ স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেন চালু করা হয়েছে। হাওড়াতে চলছে ২২০টি ট্রেন।

শিয়ালদহের ডিআরএম এসপি সিং জানালেন, রেলের তরফ থেকে সব রকমের প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে। বর্তমানের রেলের সব রেক সক্রিয় রয়েছে। রেল কর্মীরাও এখন সবাই কোভিড মুক্ত। সুতরাং লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু হলে রেলকর্মীর অভাব হবে না। এখন শুধু রাজ্যের তরফের অনুমোদনের অপেক্ষা। পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয়েছে আগস্ট মাসের শুরুতেই আরো একবার রাজ্য সরকারের কাছে লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু করার অনুমোদন চাওয়া হবে।

এমনকি রাজ্য সরকারের সঙ্গে এই মর্মে একটি বৈঠকেরও আয়োজন করা যেতে পারে। করোনা সতর্কতা বিধি মেনে লোকাল ট্রেন চালু করা সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে ইতিমধ্যে চর্চা শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য, স্টাফ স্পেশাল ট্রেন চালানো হলেও তাতে এখন অবশ্য জোর করে সকলেই উঠছেন। যা থেকে ভবিষ্যতে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।