সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

আ’গে তো ছিল না ডিটারজেন্ট, কিন্তু পোশাক থাকতো প’রি’ষ্কা’র! র’হ’স্যটা কি?

উনিশ শতকের শেষের মুখে যখন সাবান ছিল না, তখন মানুষ সাধারণত দুই ভাবে কাপড় পরিষ্কার করত। সেই সময় আম-নাগরিকরা জল গরম করে ফুটিয়ে তাতে ময়লা কাপড় ফেলে সেদ্ধ করে নিতেন। এর পর তা গরম জল থেকে বার করে কিছুক্ষণ ঠান্ডা করার পর কাপড়টিকে কোনও পাথরের উপর কেচে নিতেন, ফলে সমস্ত ময়লাই বেরিয়ে গিয়ে কাপড়টি পরিষ্কার হয়ে যেত।

আর তার জন্য প্রয়োজন হত বড় পাত্র ও চুল্লির। শুধু তখনই নয়, আজও কাপড় ধোওয়ার জন্য এই পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়। ভারতে যেখানে বড় বড় কাপড় ধোপা ঘাট রয়েছে, সেখানে এখনও এই দেশীয় উপায়ে কাপড় কাচা হয়ে থাকে। এই পদ্ধতির ক্ষেত্রে কোনও সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার করা হয় না।

দামি এবং মখমলের নরম কাপড়ের পোশাক পরিষ্কার করার জন্য এক এবং অব্যর্থ দাওয়াই ছিল রিঠাই। জল ফুটিয়ে যোগ করা হত। ফেনা হতে থাকলে তাতে কাপড় ভিজিয়ে তা পাথর বা কাঠের উপর রেখে ব্রাশ অথবা হাত দিয়ে ঘষলে কাপড় তো পরিষ্কার হতই। সেই সঙ্গে তা জীবাণুমুক্তও হয়ে যেত।

আরো পড়ুন: প্রা’ণে’র ঝুঁ’কি নিয়ে বাঘের ছ’বি, ভিডিও দেখেই ক্ষে’পে উঠলেন নেটিজেনরা

কাপড়-জামা পরিষ্কার করার আর একটি জনপ্রিয় উপায় ছিল। গ্রামাঞ্চলে খালি জমি, নদী-পুকুরের ধারে কিংবা মাঠের পাশে সাদা রঙের গুঁড়ো দেখা যায়, একে ‘রেহ’ও বলা হয়। এটি ভারতে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। জলে এই পাউডার মিশিয়ে কাপড় ভিজিয়ে রাখা হয়। এর পর কাঠের বেলন আকৃতির সরঞ্জাম ব্যবহার করে ঘষে-ঘষে কাপড় পরিষ্কার করা হয়।

‘রেহ’ একটি মূল্যবান খনিজ। এতে সোডিয়াম সালফেট, ম্যাগনেশিয়াম সালফেট এবং ক্যালসিয়াম সালফেট রয়েছে। এ-ছাড়াও এতে সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইটও থাকে, যা কাপড়কে জীবাণুমুক্ত করতে সাহায্য করে।