সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

সিয়াচেনে পৌঁছানোর আগেই লাদাখে সড়ক দু’র্ঘ’ট’না’য় মা’রা গেলেন খড়গপুরের বাপ্পা

শুক্রবার লাদাখের দুর্গম অঞ্চলে খাদে বাস পড়ে গিয়ে যে 7 জন সেনা মৃত্যুবরণ করেছেন তার মধ্যে রয়েছেন এ রাজ্যের বাসিন্দা। মৃত শিয়ানা জনের নাম বাপ্পা খুটিয়া। পশ্চিম মেদিনীপুরের খরগপুর টাউন থানা এলাকার বাসিন্দা তিনি।

গতকাল গভীর রাতে মৃত সেনা জাওয়ান এর মৃত্যু সংবাদ এসে পৌঁছয় খড়্গপুরের বাড়িতে। স্বাভাবিকভাবেই খবর পাওয়ার পর থেকে গোটা এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

গত 27 এপ্রিল ছুটি কাটিয়ে কাজে যোগদান করেছিলেন বাপ্পা। গুজরাট থেকে দুর্গম সিয়াচেনে বদলি হয়ে যায় তার। শুক্রবার সেনা জওয়ান দের নিয়ে সিয়াচেনে যাওয়ার সময় বাস গভীর খাদে পড়ে যায়।

আরো পড়ুন: মেয়ে ছা’ড়া পরিবারের আরো ২৫ জন চাকরি পান, দু’র্নী’তির চোরাবালিতে ফেঁ’সে’ই চলেছেন পরেশ

ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান 7 জন সেনা জওয়ান, আহত হন ১৯ জন। প্রাথমিকভাবে বাপ্পার পরিবার জানতে পেরেছে, আচমকা ঝড় নেমে যাওয়ার কারণে সেনা জওয়ান দের বাসটি নদীতে গিয়ে পড়ে যায়। বাপের বাড়িতে বাপ্পার বাবা-মা স্ত্রী ছাড়াও রয়েছে 11 মাসের একটি শিশু কন্যা।

বাপ্পার পরিবার প্রথম থেকেই আশঙ্কিত হয়েছিলেন যখন একমাত্র ছেলের সিয়াচেনে পোস্টিং হয়ে যায়। কোন ভাবেই নিজেদের আশ্বস্ত করে রেখেছিলেন তারা। কিন্তু এই দুঃসংবাদ পাবার পর বারবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন বাপ্পা স্ত্রী।

বাপ্পার বাবা সুকুমার খুটিয়া ছিলেন একজন আরপিএফ প্রাক্তন জওয়ান। একমাত্র ছেলে রে মৃত্যুর যন্ত্রণা নিয়ে তিনি বলেন, আমার ছেলেকে পোস্টিং করা হয়েছিল দুর্গম সিয়াচেনে।

কোন ভাবে ওই পোস্টিং বাতিল করানোর জন্য আবেদন করতে বারবার বলেছিলাম ছেলেকে। কোন কথাই শুনলো না। উল্টে আমাদের অভয় দিয়ে গেল।

পরিবার সূত্রে খবর, 2009 সালে সেনাবাহিনীতে যোগদান দিয়েছিলেন বাপ্পা। এর আগে দু’বার সেনাবাহিনীতে সুযোগ পেয়েছিলেন কিন্তু মায়ের আপত্তিতে সেনাতে যোগ দিতে পারেননি।

আরো পড়ুন: কি অবস্থা! ফেসবুকে লম্বা চুল দেখে মেঘনাথকে “মেঘনা” ভেবে বি’য়ে করলেন বাঙালি যুবক

কিন্তু শেষমেশ কার্যত কিছুটা জোর করে তিনি সেনাবাহিনীতে যোগদান করেছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত মায়ের আশঙ্কায় সত্যি হল। বাপ্পার বাবা বলেন, এর থেকে জঙ্গিদের গুলিতে ছেলের মৃত্যু হলে কিছুটা মেনে নেওয়া যেত কিন্তু এটা কিছুতেই মেনে নেওয়া যাচ্ছে না।

রবিবার রাতেই বাপ্পার দেহ খড়্গপুরের বাড়িতে এসে পৌঁছাবে। এই মুহূর্তে বাপ্পার দিদি জামাইবাবু রয়েছেন উত্তর ভারতে। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে দিল্লির দিকে রওনা হয়ে গেছেন সেনাবাহিনী। শহরের ছেলেকে শেষ বিদায় জানানোর জন্য তৈরি হচ্ছে খড়গপুর।