ভারতবর্ষের আইনে মহিলাদের উপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে কি কি কঠোর শাস্তি হয় তা লিপিবদ্ধ রয়েছে। কিন্তু পুরুষরাও যে প্রতিনিয়ত নির্যাতিত হয়ে চলেছেন তার খবর কতজন রাখেন। গার্হস্থ্য হিংসা যে পুরুষদের জীবন দুর্বিষহ করে তোলে সেটা অন্ধকারই থেকে যায় আইন তৈরি না হওয়ার জন্য। স্ত্রীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ স্বামী থেকে শশুর।
আর এই অত্যাচার থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না শিক্ষিত মানুষ থেকে সমাজের নিচু তলার মানুষেরাও । দক্ষিণ কলকাতার বেহালার বাসিন্দা বিশ্বনাথ ধর ২০১৬ সালে পাত্র পাত্রী বিজ্ঞাপন দেখে বিয়ে করেছেন আর বিয়ের রাত থেকেই বউয়ের রূপ তার কাছে প্রকাশ পায়। বউ স্পষ্ট জানিয়ে দেন শ্বশুর শাশুড়ির সঙ্গে ঘর করতে পারবেন না শেষ পর্যন্ত আদালতে গড়ায় এই ঝামেলা।
শেষ অব্দি সংসার ভেঙে যায় বিশ্বনাথ বাবুর এখন আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী প্রতিমাসে ১৩০০০ টাকা করে স্ত্রীকে খরপোস দিতে হয় তার। ঠিক একই অবস্থা মধ্য কলকাতার দমদমের বাসিন্দা সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়ের তিনি পেশায় একজন বিজ্ঞানী। ২০১৬ সালে প্রেম করে বিয়ে করেন এক কলেজ অধ্যাপিকাকে। বিয়ের পর থেকেই স্ত্রী জানিয়ে দেন ঘরজামাই থাকতে হবে সন্দীপন বাবুকে।
কিন্তু বাবা মাকে ছেড়ে যেতে নারাজ একমাত্র ছেলে তাই মাত্র ১০ মাসেই বিবাহিত জীবনে ইতি টানেন তারা। তাদের একটি সন্তান স্ত্রীর কাছেই রয়েছে। যদিও সন্দীপন বাবুকে তার স্ত্রী এবং সন্তানের সমস্ত খরচ দিতে হয়। বছর আশির ইন্দ্র চন্দ্র ঘোষ তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের অবসরপ্রাপ্ত উচ্চ পদস্থ আধিকারিক।
স্ত্রী মারা গিয়েছেন বহুদিন আগে এদিকে ছেলে ও বৌমার চাপে টাকা পয়সা সম্পত্তির সমস্ত কিছু তাদের লিখে দিতে হয়। এমনকি জোর করে মহামারীর সময় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে সমস্ত সম্পত্তি লিখিয়ে নেন তার ছেলে। ব্যাংকের টাকা-পয়সাও তুলে নেন ছেলে বৌমা।
এদিকে সেই বউমাই শ্বশুরের বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ তুলে তাকে জেলে পাঠিয়েছেন। ৪৯৮ ও ৪৯৮ এ এই দুটি ধারা বলবৎ হয়েছে মহিলাদের জন্য। অথচ এই দুটি ধারা অপব্যবহার করে স্বেচ্ছাচারিতা করে যাচ্ছেন সমাজের কিছু মহিলা।
আচ্ছা আপনারাই বলুন এই পুরুষদের উপর যে নির্যাতন চালানো হয়েছে তা কি বধূ নির্যাতনের থেকে কোন অংশে কম? নাকি কেবলমাত্র পুরুষ বলে তাদের সহনশীলতা নারীদের তুলনায় কয়েক কোটি গুণ বেশি! তাই সমাজের সর্বস্তরে এভাবেই নিপীড়িত হতে হচ্ছে মনিন্দ্র বাবু সন্দীপন বাবুদের!