হিন্দু শাস্ত্র মতে গঙ্গা হল এই দেশের প্রধান ও পবিত্র নদী। এই নদীর উত্পত্তি স্বয়ং মহাদেবের জটা থেকে। হিন্দু ধর্মে গঙ্গা নদীকে মা গঙ্গা রূপে পুজো করা হয়।
শাস্ত্রে উল্লেখ রয়েছে পৃথিবী থেকে সব পাপ ধুয়ে মুছে সাফ করে দিতে মা গঙ্গার আবির্ভাব ঘটে মর্ত্যলোকে। প্রতি বছর জৈষ্ঠ্য মাসের শুক্লা দশমী তিথিতে গঙ্গা দশেরা পালিত হয়ে থাকে।
হিন্দু ধর্মে এই দিনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাহাত্ম্য রয়েছে। এদিন গঙ্গায় স্নান করলে মোট ১০ ধরণের পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় বলেও বিশ্বাস রয়েছে।
আরো পড়ুন: অ’দ্ভু’ত শখ! এখনো ৩০-র দশকেই আ’ট’কে আছেন এই দম্পতি!
দুর্গাপুজোয় বাঙালিদের দশমীর দিন অবাঙালিদের একটি উৎসব পালিত হয়। সেটি হল শারদীয়া নবরাত্রির দশেরা। দশেরাতে অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটে এবং শুভ শক্তির জয় হয়।
আর যেহেতু গঙ্গা স্নান করে গঙ্গা দশেরাতে পাপ বিনাশ ঘটে, তাই এই দিনটিও দশেরা নামে পরিচিত। হিন্দুধর্মের মানুষেরা পাপ থেকে মুক্তি পেতে গঙ্গা দশেরায় গঙ্গাস্নান করেন। এমনকি পুরাণে কথিত আছে এদিন গঙ্গাস্নানের মহিমায় বৈকুণ্ঠলোকও প্রাপ্ত হয়।
গঙ্গা দশেরায় গঙ্গা স্নান করে যে ১০ ধরনের পাপস্খলন ঘটে তা হল –
মহিলাদের অপমান করা।
মিথ্যে কথা বলা।
হিংসার বশবর্তী হয়ে কোনো কাজ করা।
কারোর বিরুদ্ধে নালিশ করা।
কারোর প্রতি খারাপ ও অশালীন শব্দ প্রয়োগ।
কারোর অনুমতি ছাড়া তাঁর জিনিসে হাত দেওয়া।
অপ্রয়োজনীয় বিষয়ে বাজে মন্তব্য করা।
অন্যের ক্ষতি করা বা ক্ষতি করার মানসিকতা রাখা।
অন্যর সম্পত্তি ছলে-বলে কৌশলে নিজের করে নেওয়া।
এদিন সব নিয়ম মেনে নিষ্ঠাভরে গঙ্গাপুজো করলে জীবনের সকল বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। কোনো কারণে এদিন গঙ্গায় স্নান করতে না পারলে অন্য কোনো নদী বা পুকুরে তিল অর্পণ করে ডুব দিয়ে স্নান করুন। আর এইদিন দানধ্যান করতে পারলে খুব ভালো।