যে কোন প্রশ্নের উত্তর থেকে রান্নার রেসিপি সবকিছু থাকে গুগলের কাছে। তাইতো, google প্রফেসর গুগল। তবে এবার google এ আরও একটি নতুন ফিচার আসতে চলেছে। কয়েকটা লেখা দিয়ে দেবেন আর তার মধ্যে গান বেঁধে ফেলবে গুগল। লাগবে না আর সুরকারের কেরামতি। গুগলের মাধ্যমে একটা সুন্দর গান তৈরি হয়ে যাবে কয়েকটা অক্ষর দিয়ে।
Google যেন আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ হতে চলেছে। যেখানে হাতের কাছে মিলে যায় সমস্ত রকম পরিষেবা । শুধুমাত্র কয়েকটি অক্ষর দিলেই গুগল তৈরি করে ফেলবে একটা সুন্দর গান। মিউজিক এলএম। যে মডেলের দ্বারা যে কোন টেক্সটে হাই-ফিডালিটি মিউজিক তৈরি করা যাবে।
সবকিছু যেন দিন দিন কৃত্রিম হতে চলেছে। রোবোটিক্স ও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর রমরমা এবার পড়তে চলেছে গানের জগতে। অনেকদিন আগেই গানের জগতে জায়গা করে নিয়েছে অটো টিউন। এবার গুগল সেখানে অনুপ্রবেশ করতে চলেছে। গুগলের এই বিশেষ টূলের দৌলাতে এবার যে কোন জায়গায় যে কোন গানে সুর বসাতে পারবেন নির্দ্বিধায়।
আরো খবর: তুমুল বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা ৪ রাজ্য জু’ড়ে, হ’বে শিলাবৃষ্টি! বাংলার আবহাওয়া কেমন থা’ক’বে?
গবেষকরা বলছেন,২৮০০০০০ ঘন্টার মিউজিক ডেটা সেট দিয়ে তৈরি করা হয়েছে এই টুল। এতে রয়েছে হায়ারারকিয়াল সিকোয়েন্স টু মডেলিং এর মত নানান অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। যার মাধ্যমে যেকোনো কথায় সুর বসানো যাবে। এই ক্রিয়েটিভ কন্টেন্টের মাধ্যমে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ২৪ KHz মিউজিক জেনারেট করা যাবে।
যদিও এখন থেকেই চিন্তা করার কোনো কারণ নেই কারণ এই টুল বাজারে আসতে এখনো বেশ কয়েক বছর দেরি হয়েছে। এখনো প্রয়োজন গবেষণা সেই গবেষণার শেষ করার পরেই তারপর এই কনটেন্টের ব্যবহার করা যাবে। তবে ব্যবহারের চাইতে বেশি এই কনটেন্ট অপব্যবহার একাংশ।
তবে google ই প্রথম সংস্থা নয় যারা এটা ব্যবহার করছে এর আগেও রিফিউশন ওপেন এ আই জিওক বক্স সুরারোপ করবার পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। রিচ ক্যাপশন লং জেনারেশন স্টোরি মোড টেক্সট এবং মেলোডি কন্ডিশনিং সবকিছু করা সম্ভব এই অ্যাপের মাধ্যমে।