পশ্চিমবঙ্গে ভবানীপুর ছাড়াও আরও চারটি কেন্দ্রে উপনির্বাচন বাকি আছে। তাহলে শুধু ভবানিপুর কেন্দ্রে কেন উপ নির্বাচন করা হচ্ছে? এই প্রশ্ন তুলে নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্য সরকারের তুমুল সমালোচনা করতে শুরু করেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বিজেপি রাজ্য সভাপতি কমিশনের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে কার্যত বুঝিয়ে দিতে চাইলেন যে মুখার্জি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এক ইঞ্চি জমিও ছেড়ে দেবে না বিজেপি।
বিশ্ব সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে দিলীপ ঘোষ জানিয়ে দিয়েছেন ভবানীপুর কেন্দ্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপরীতে কোনো এক বড় নেতা অথবা নেত্রীকেই প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করাবে বিজেপি। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জঙ্গিপুরের শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হেরে গিয়েছেন। এখন ভবানীপুর তার নিজের কেন্দ্র হলেও এখানেও তাকে জোর টক্কর দিতে চাইছে বিজেপি। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন ভবানীপুর কেন্দ্রে উপ নির্বাচন হচ্ছে। এই কেন্দ্রে একুশের গান সবার নির্বাচনের মতোই সর্বশক্তি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে লড়াই চালাবে বিজেপি। অর্থাৎ লড়াই হবে সমানে সমানে।
দিলীপ ঘোষ আরও জানিয়েছেন ভবানীপুর উপ নির্বাচন কেন্দ্রে বিজেপি জোর প্রচার চালাবে। যেহেতু খোদ মুখ্যমন্ত্রী এই কেন্দ্রের প্রার্থী হয়েছেন, তাই মুখ্যমন্ত্রীর বিপরীতে কোনো বড় নাম ঘোষণা করা হবে। নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হেরেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তার নিজের গড় ভবানীপুরেও তাকে জোর টক্করের সম্মুখীন হতে হবে। দলের তরফ থেকে এই বিষয়ে শীঘ্রই কোনো বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে তিনি আভাস দিয়েছেন।
বিজেপির অন্দরমহল সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদের দুই কেন্দ্র সামশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুর এবং তার সঙ্গে ভবানীপুর কেন্দ্রে প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য এবং ভোটের প্রস্তুতির যাবতীয় সিদ্ধান্ত নিতে আগামী সোমবার বৈঠকে বসবে বিজেপি। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে যেহেতু হেরেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাই তাকে মুখ্যমন্ত্রী পদ ধরে রাখতে হলে ৬ মাসের মধ্যে কোনো একটি কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়ে আসতে হবে।
