সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

গ্রহণ যোগ: এই ৩ রাশির জী’ব’নে পড়বে খারাপ প্র’ভা’ব, হতে পারে লো’ক’সা’ন!

জ্যোতিষশাস্ত্র মতে প্রতিটি রাশির সাথে গ্রহণ যোগের একটি সম্পর্ক থাকে। আর সেই গ্রহণ যোগ লাগলে রাশি গুলির মধ্যে কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু জ্যোতিষ শাস্ত্রে এই যোগকে মোটেও শুভ মনে করা হয় না। কিন্তু কি এই গ্রহণযোগ আসুন জেনে নেওয়া যাক। মূলত সূর্য ও কেতুর মধ্যে জুটি সৃষ্টি হাওয়াকেই গ্রহণ যোগ্য বলা হয়।

আর জ্যোতিষদের গণনা অনুযায়ী সূর্য ও রাহুর যুতিতে তৈরি হওয়া এই গ্রহণ যোগ যা সমস্ত রাশির ওপর প্রভাব বিস্তার করলেও তিনটি রাশির জাতকদেক এ সময় বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে বলে মনে করছেন তাঁরা। কোন তিনটি রাশির জীবনে গ্রহণ দোষ সমস্যা ডেকে আনবে আসুন জেনে নেওয়া যাক। প্রথমেই হলো

তুলা রাশি :- সূর্য ও কেতুর যুতিতে এই যে গ্রহণ যোগ সৃষ্টি হচ্ছে এতে তুলা রাশির জাতক জাতিকাদের ওপর খুব খারাপ প্রভাব পড়তে চলেছে। এই সময় তাদের অত্যন্ত সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। নতুন ব্যাবসা শুরু না করাই ভালো হবে নয়তো লোকসান হতে পারে। বাইরে যাওয়া থেকে এখন বিরত থাকায় ভালো। শরীর স্বাস্থ্য এর দিকে একটু নজর দিতে হবে। পেট ও হৃদযন্ত্রের সমস্যায় ভুগতে হতে পারে।

মেষ রাশি :- মেষ রাশিতে রাহু বিরাজমান। তার দৃষ্টি রয়েছে পঞ্চম স্থানে। এই স্থানে সূর্য নীচস্থ। তাই এ সময় মেষ রাশির জাতকদের নিজের স্বাস্থ্যের বিশেষ যত্ন নিতে হবে। বিশেষ করে যারা হৃদরোগের সমস্যায় ভোগেন তাঁদের আরও সাবধানে থাকতে হবে। মেষ রাশির ব্যবসায়ী জাতকদের জন্য ব্যবসার সময়টা খুব একটা ভালো না। তাই নতুন কাজে লগ্নি এখন না করাই ভালো। এছাড়াও মেষ রাশির যে জাতকদের কোষ্ঠীতে কেতুর দশা চলছে তাঁদের জন্যও এই সময়টি অত্যন্ত কষ্টজনক হতে চলেছে।

আরো পড়ুন: মাত্র ৪৫ কিমি প’থ যে’তে সময় লাগাব ৫ ঘন্টা! কো’ন রেলপথে চ’লে এই ট্রেন?

সিংহ রাশি :- এই গ্রহণ যোগ চলাকালীন এই রাশির কোষ্ঠীর কেন্দ্র স্থানে কোনও গ্রহ নেই। অধিপতি সিংহও এখন নিচের দিকে রয়েছে তাই এখন কোনো ব্যাবসায় নতুন কিছু না করাই ভালো। স্বাস্থের দিকে নজর দিতে হবে। রাস্তা ঘাটে খুব সাবধানে চলা ফেরা করতে হবে দুর্ঘটনার যোগ রয়েছে। তাই সব মিলিয়ে এই সময়টা একেবারেই অনুকূল নয়। যতোটা পারা যায় সাবধানে থাকতে হবে।

তবে এই যোগ কাটিয়ে ওঠার কিছু উপায় আছে শাস্ত্রে। সেগুলি মেনে চললে এই খারাপ সময়টা অনেকটাই কাটিয়ে ওঠা যায়। সেগুলি হলো – প্রতিদিন সূর্যকে অর্ঘ্য দেওয়া উচিত। অর্ঘ্যের জলে সামান্য গুড়, কুমকুম, কনের বা কোনও লাল ফুল মিশিয়ে ওম ঘৃণি সূর্যায় নমঃ অথবা ওম হ্রাং হ্রীং হ্রৌং সঃ সূর্যায় নমঃ মন্ত্র জপ করে অর্ঘ্য দিন। এ ছাড়াও কেতুর বীজ মন্ত্র ওম স্রাং স্রীং স্রৌং সঃ কেতবে নমঃ জপ করা শুভ।