হিন্দু ধর্ম মতে সিঁদুর হল মঙ্গলের প্রতীক। বিয়ের পর মহিলারা তাঁদের স্বামীর কল্যাণার্থে সিঁথিতে সিঁদুর পরেন। তাই প্রতিটি হিন্দু বিবাহিত নারীর জন্য সিঁদুর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া হিন্দু ধর্মের যে কোনো পূজা বা মাঙ্গলিক কাজে সিঁদুরের ব্যবহার রয়েছে।
তবে অনেকেই জানেন না সিঁদুরের অন্যান্য ব্যবহার সম্বন্ধে। সিঁদুর আমাদের কষ্ট থেকে মুক্তি দিতে পারে। আজকের প্রতিবেদনে আমরা সিঁদুরের অন্যান্য ব্যবহার সম্বন্ধে জানব। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক।
১) বাড়িতে যদি কোনো ব্যক্তি অসুস্থ হয় তাহলে সাতবার মাথা থেকে সিঁদুর নিয়ে নদীর জলে দিন। এতে রোগী দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে বলে বিশ্বাস রয়েছে।
২) চাকরি পাওয়া থেকে বারবার বঞ্চিত হলে সিঁদুরে জাফরান মিশিয়ে বৃহস্পতিবার একটি হলুদ কাপড়ে হাতের অনামিকা দিয়ে ৬৩ নম্বরটি লিখে দেবী লক্ষ্মীর চরণে অর্পণ করুন। টানা তিন বৃহস্পতিবার এটি করতে পারলে ভালো ফল পাবেন।
৩) প্রতিদিন পুজোর পর বাড়ির মূল দরজায় পুজোর সামান্য সিঁদুর লাগালে ঘরে মা লক্ষ্মী বিরাজমান হন।
৪) শনিবার করে হনুমান মন্দিরে জুঁই তেলের সঙ্গে সিঁদুর অর্পণ করলে অনেক সমস্যা দূর হয়।
৫) আর্থিক ক্ষেত্রে অনটন চললে একটি নারকেলের উপর সিঁদুর লাগিয়ে তাতে একটি লাল কাপড়ে বেঁধে পুজো করুন এবং ব্যবসার জায়গায় রাখুন। আর্থিক অনটন কেটে যাবে।
৬) জীবন থেকে নেতিবাচক শক্তির প্রভাব দূর করার জন্য তেলে সিঁদুর মিশিয়ে ঘরের দরজায় লাগাতে পারেন।
৭) বুধবার একটি পানের উপর ফটকিরি ও সিঁদুর বেঁধে বট গাছের নিচে একটি পাথরের নিচে রাখুন। টানা তিন বুধবার এটি করলে আপনার সম্মান বাড়তে পারে।
আরো পড়ুন: উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন থেকে স’রে দাঁ’ড়া’লো বাংলার শাসকদল
৮) প্রতিটি কাজে আপনি যদি ক্রমাগত ব্যর্থ হতে থাকেন তাহলে গঙ্গায় সিঁদুর ফেলে দিন। এতে সংশ্লিষ্ট গ্রহের প্রভাব কমিয়ে সূর্য ও মঙ্গল ভালো ফল দিতে শুরু করবে।
৯) স্বামীর সঙ্গে নিত্যদিন অশান্তি হলে সংসারে শান্তি ফেরাতে প্রতি রাতে স্বামীর বালিশের নিচে একটি সিঁদুরের কৌটো রাখুন। এটি নিয়মিত ৭ দিন করলে টেনশন ধীরে ধীরে কেটে যাবে।
১০) ঘরে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি বজায় রাখার জন্য বাড়ির প্রধান প্রবেশদ্বারে সিঁদুর-প্রলেপ দেওয়া গণপতির মূর্তি রাখতে পারেন।