সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

হাওড়া স্টেশনে খোঁড়াখুঁড়ি করতেই ১৫০ বছর পু’রা’নো প্রাচীন রেললাইন উ’দ্ধা’র হলো

আমাদের রাজ্যের সব স্টেশনগুলোর মধ্যে শেয়ালদহের মতন গুরুত্বপূর্ণ ওপর একটি স্টেশন হলো হাওড়া স্টেশন। দেশের প্রায় সব জায়গার স্টেশনের সাথেই যুক্ত এই স্টেশন। প্রতিদিনের রুটি রুজির জন্য এই স্টেশন টি খুব কাজে লাগে সাধারণ মানুষের।

একসময় খুব ছোট থাকেলও এখন এই স্টেশন অনেক বড় হয়েছে। উন্নত হয়েছে অনেক ব্যাবস্থাও। আর সেই স্টেশনেই দেখা মিলল ১৬২ বছরের পুরনো এক রেল লাইনের। সম্প্রতি হাওড়া মেট্রো লাইন তৈরি হওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। সেই মেট্রো পথ বানাতে গিয়েই দেখা মিলল এই ১৬২বছর পুরোনো এক রেল স্টেশনের।

প্রথম রেল চলাচল শুরু হয় ১৮৫৪ সালের ১৫ই আগস্ট। আর তার প্রায় ৯৩ বছর পর ভারত স্বাধীনতা লাভ করে। আর খুব অদ্ভুতভাবেই স্বাধীনতা দিবসের ৭৫বছর পালনের আগেই উদ্ধার হলো এত পুরনো একটি রেল লাইনের। যা দেখে খুশি সকল রেল গবেষকরা ও রেল আধিকারিকরা।

আরো পড়ুন: লোকাল ট্রেনে ষাঁড় উঠিয়ে দিয়ে বে’পা’ত্তা একদল যাত্রী! কিন্তু এরপর যা হ’লো, রইলো ভিডিও

মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী এই প্রসঙ্গে জানান যে – ” আমরা উদ্ধার হাওয়া ওই অংশটিকে ইতিমধ্যেই সংরক্ষণ করার ব্যাবস্থা করছি। হাওড়া রেল মিউজিয়ামে সেটিকে রাখার ব্যবস্থা করা হবে “।

তাছাড়া জানা যায় যে, এখানকার এই এত ব্যস্তময় হাওড়া স্টেশন আগে ছিল একটা গির্জা। সেখানে একটি মাত্রই রেল লাইন ছিল। আর ছিল লালমাটির একটা টিকিট ঘর। সবাই সেই ঘরের একটি জানলা থেকে টিকিট সংগ্রহ করতো। ছিল কিছু টিনের ঘর। ওগুলো ইঞ্জিনের মেরামতের কারখানা হিসেবে ব্যাবহার করা হতো।

এখন যে বাড়িটি আছে জানা গেছে সেটা শুরু হয়েছিলো ১৯০১ সালে প্রায় ৫ বছর কাজ হয়ে সম্পূর্ণ হয়। আর যে পুরোনো রেল লাইনটি পাওয়া গেছে সেটা ৩য় প্লাটফর্ম বলে মনে করা হচ্ছে। আর প্রথম লাইন টি হচ্ছে এখনকার ১৭নম্বর প্লাটফর্মটি।

যদিও সেটা গুডস সেড হিসেবে ব্যাবহার করা হয় শুধু পার্সেল গাড়ি আসে সেখানে। আর এর নিচেই বানানো হচ্ছে মেট্রো স্টেশনের লাইন। সেই সময়কার যুগে যাওয়া আসা করার জন্য গঙ্গার উপর ভরসা করতে হতো বেশি তাই এই রেল লাইনের টিকিট কাউন্টার ছিল আর্মেনিয়ান ঘাটে। শোনা যায় ওখান থেকে টিকিট কেটে একেবারে লঞ্চ ও রেলগাড়ি দুটোই চাপা যেত। লঞ্চ এর আলাদা টিকিট ছিল না। যা আজ অবিশ্বাস্য।