চলতি বছরের দুর্গাপুজোয় অনেক জায়গাই ভেসেছে। মানুষজন অনেক কষ্ট করে ঠাকুর দেখেছেন। কলকাতা ও তাঁর পার্শ্ববর্তী এলাকা গুলোতেও মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। ফলে পশ্চিমবঙ্গ বাসী পুজোয় ভালোই ভুগেছে। তবে সকলেই আশা করে বসে আছে যে কালীপুজো তে হয়তো এই ভোগান্তি হবে না। তবে সেই নিয়েও বিশেষ ভালো খবর শোনাতে পারছে না আবহাওয়া দফতর। কারণ জানা যাচ্ছে বঙ্গোপসাগরে নতুন করে দুটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হচ্ছে যাকে সুপার সাইক্লোন বলে।
আর সেটা আগামী সপ্তাহের মধ্যেই জানা যাবে। তবে এর মধ্যেই এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম করণ হয়ে গিয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি তৈরি হয় তাহলে তার নাম হবে ‘সিত্রাং’। মনে করা হচ্ছে এই সুপার সাইক্লোন হাওয়ার গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৫০ – ২০০ কিলোমিটার। যা কালীপুজোর সময়ে উপকূলের দিকে আছরে পড়তে পারে।
এই ঘুর্ণবাতের জেরে আগামী ১৭ – ১৮ অক্টোবরের মধ্যে আন্দামান সাগরে তৈরি হতে পারে একটি নিম্নচাপ। ১৮ – ১৯ অক্টোবরের মধ্যে সেটি ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নিতে পারে। আর আস্তে আস্তে সেটা শক্তি সঞ্চয় করে উপকূলের দিকে এগোতে থাকবে। এই ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্রে বাতাসের গতি হতে পারে ঘণ্টায় ১৫০ – ২০০ কিলোমিটার।
আরো পড়ুন: উত্তরবঙ্গের নদীগুলির জলস্তর বা’ড়’বে! বন্যা ও ধসের স’ত’র্ক’বা’র্তা জা’রি করলো আবহাওয়া দফতর
অনেকেই মনে করছেন এই সুপার সাইক্লোন বিধ্বংসী রূপ নিতে পারে। অনুমান করা হচ্ছে ২৪-২৫ অক্টোবর ভূভাগে প্রবেশ করবে এই ঝড়। তবে এখনই এই ঝড়ের গতিবিধি বলা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানাচ্ছে আবহাওয়াবিদরা। তাঁরা মনে করছেন এটি ঘুর্নবাতের রূপ নেওয়ার পরেই বোঝা যাবে কোন দিকে এই ঝড় যেতে চলেছে।
তবে তাঁরা একটি আন্দাজ মাফিক জানাচ্ছেন যে, এই ঝড় অন্ধ্রপ্রদেশের দিক থেকে বাংলাদেশের মধ্যে পূর্ব উপকূল বরাবর আছড়ে পড়তে পারে। তবে যেখানেই আছড়ে পরুক না কেনো একটা বিরাট ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্খা করছেন আবহাওয়াবিদ গণ। তাঁদের গণনা অনুযায়ী ১৫-২০ ফুট জলোচ্ছাসও হতে পারে বলে অনুমান করছেন তাঁরা। তাই সকলকে সাবধান থাকতে বলা হচ্ছে ওই দিনগুলিতে। যাতে বিশেষ ক্ষয় ক্ষতি না হয়।