সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

সারাক্ষণ মোবাইল অথবা কম্পিউটারে ন’জ’র? বাচ্চাদের চোখের আ’কা’র বদলে যে’তে পারে!

প্রায় দু বছর হয়ে গেল স্কুল-কলেজ সমস্ত বন্ধ। বাড়িতে বসেই বাচ্চারা ডিজিটাল মাধ্যমে পড়াশোনা করছে। লেখাপড়া থেকে নাচ-গান সবকিছুই চলছে অনলাইনে। স্বাভাবিকভাবেই বাচ্চাদের থেকে দূরে রাখা রীতিমতো অসম্ভব হয়ে পড়ছে। এই অনলাইন পড়াশোনা ভীষণভাবে প্রভাব ফেলছে বাচ্চাদের চোখের উপর। বিশেষজ্ঞদের মতে, গত বছর অন্তত 25 শতাংশ বেড়েছে বাচ্চাদের চোখের সমস্যা। দীর্ঘদিন ধরে এই ভাবে টিভি এবং মোবাইলের সঙ্গে সম্পর্ক থাকার কারণে চোখের মণির আকার বদলে যাচ্ছে। ফলস্বরূপ নাকের উপর উঠছে চশমা।

চিকিৎসকদের মতে অনুযায়ী, এই সমস্যা অতি মাড়ির আকার ধারণ করতে পারে খুব তাড়াতাড়ি। ১৯৭১ সালের পর মার্কিন মুলুকে এই বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রায় 42 শতাংশ বেড়ে গেছে বাচ্চাদের দৃষ্টিশক্তিহীন হওয়ার সমস্যা। দীর্ঘক্ষণ স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকার পাশাপাশি অনলাইনে ছোট ছোট লেখা পড়ার ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে চশমা এই সমস্যা মিটিয়ে দিলেও অদূর ভবিষ্যতে দৃষ্টিশক্তি হারাতে পারে বহু সন্তান এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

শুধুমাত্র দৃষ্টিশক্তি কমে যাবে তা নয়, চোখের শিরা শুকিয়ে যেতে পারে। তাই এখন থেকেই বাচ্চাদের স্কুলের সামনে বেশিক্ষণ বসে দেবেন না। প্রত্যেক কুড়ি মিনিট অন্তর একবার করে বিরতি দেবেন। স্ক্রিন থেকে অন্তত কুড়ি ফুট দূরত্বে নিয়ে যান সন্তানকে। কুড়ি সেকেন্ড ২০ বার পলক ফেলতে বলুন। দেখবেন চোখের আদ্রতা স্বাভাবিক থাকবে।

এছাড়াও কম্পিউটার স্ক্রিনের ব্রাইটনেস যথাসম্ভব কমিয়ে রাখার চেষ্টা করুন। এতে অতিরিক্ত রশ্মি থেকে রক্ষা পাবে আপনার সন্তানের চোখ। মোবাইল দেখার সময় প্রয়োজন হলে নাইট মোড অন করে রাখুন। কম্পিউটার ব্যবহার করলে চেষ্টা করুন মনিটর থেকে দূরে রেখে যথাসম্ভব কাজ করাতে বাচ্চাকে।

মাঝে মাঝেই শিশুর রুটিন চেকআপ করান। মাথা ব্যথা অথবা চোখে ব্যথা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সম্ভব হলে নিয়মিত সবুজ ঘাস অথবা গাছের দিকে তাকিয়ে থাকার সুযোগ করে দিন।