করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের দরুন রাজ্য সরকারের নির্দেশে বর্তমানে দ্বিতীয় পর্যায়ের লকডাউন চলছে রাজ্যজুড়ে। দীর্ঘ প্রায় এক মাস ধরে বন্ধ যান চলাচল। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে চালু হওয়া এই লকডাউন আগামী ১৫ই জুন শেষ হতে চলেছে। ওই দিন থেকেই কার্যত রেলের পরিষেবা শুরু করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী কাছে একটি আবেদন বার্তা পাঠিয়েছে পূর্ব রেলওয়ে বিভাগ। রেলের দাবি, রুজি রোজগারের টানে বহু মানুষকেই এখন বাইরে বেরোতে হচ্ছে।
রেল কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা, এমতাবস্থায় যদি লোকাল ট্রেন চালু হওয়ার ক্ষেত্রে অনুমতি না দেওয়া হয় তা হলে হিতে বিপরীত হবে। করোনা সংক্রমণ বাড়বে বৈ কমবে না। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, করোনাকালে রেল পরিষেবা সর্বাধিক ব্যাহত হয়েছে। এতে লোকাল ট্রেন বন্ধ থাকায় রেল কর্তৃপক্ষের আয় প্রায় তলানিতে ঠেকেছে। তাই রেলের এই আবেদনের পেছনে মানুষের সুবিধার জন্য চিন্তার পাশাপাশি অর্থনীতির দিকটাও বিবেচ্য।
বিশিষ্ট সূত্রের খবর, লকডাউন এর আগে কেবল হাওড়া ডিভিশনেই এপ্রিল মাসে প্রতিদিন ৫৬ লক্ষ টাকা আয় হয়েছে পূর্ব রেলের। হাওড়া- শিয়ালদহের সবকটি শাখায় সব মিলে ৩৪২টি স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেন চলছে বর্তমানে। তবে এই ট্রেন গুলিতে কেবল রেলের কর্মীরাই উঠতে পারেন। এদিকে নিত্যযাত্রীরাও প্রতিদিন ওই ট্রেনে উঠতে চান। যে কারণে তাদের সঙ্গে রেলকর্মী এবং রেল পুলিশের নিত্যদিন বিবাদ বাঁধে।
এই সমস্যা দূর করার জন্য অবিলম্বে ট্রেন পরিষেবা চালু হওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে জানাচ্ছে রেল বিভাগ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সোমবারে রেল চলাচল নিয়ে নবান্নে একটি বৈঠকের আয়োজন করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রেল চলাচল সংক্রান্ত যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে। লোকাল ট্রেন থেকে শুরু করে মেট্রো রেল পরিষেবা সম্পর্কিত যাবতীয় সিদ্ধান্ত আজ নেওয়া হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।