গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে শাশুড়ি, এবার সেই খুনের অভিযোগে আদালতের নির্দেশে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হলো বৃদ্ধা প্রভাবতী রায়ের। শাস্তি শুধু তার হয়নি একার, স্বামী, দেওর, ননদ, জা সবাই এখন একই শাস্তির মুখে।
তার সাথে সেই গৃহবধূর নাবালিকা কন্যার জন্য ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে আসামীপক্ষকেই। ঘটনাটি সম্প্রতি নয়, ২০১৩ সালের ঘটনা। এবার সেই মামলায় গতকাল মঙ্গলবার ঘাটাল মহকুমা আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সঞ্জয় কুমার শর্মা এই নির্দেশ দিল।
২০০০ সালে দাসপুরের বাসিন্দা নির্মল রায়ের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ডেবরার রুমা রায়ের, পণ না দেওয়ার কারণে বারবার চাপ সৃষ্টি করা হতো সেই গৃহবধূর ওপর। এমনকি স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা মারধর পর্যন্ত করত তাকে, এমনকি কয়েকবার মেরে ফেলার চেষ্টাও করা হয় তাকে।
শেষ পর্যন্ত সেই চেষ্টা সফলতায় পূরণ হয় ২০১৩ সালের ৩০ আগষ্ট। সেদিন গৃহবধূকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরোধ করে মারা হয়, ঠিক তারপরেই পুলিশ যখন অভিযোগ পায়, তখন ৪৯৮ ও ৩০২ ধারায় মামলা রুজু করে ৫ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে।
তারপরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় ঠিকই কিন্তু, জামিন পেয়ে যায় সহজে। তবে ৯ বছরের এই মামলা আবার জেগে ওঠে, ৩০ মে সোমবার। সেখানেই ঘাটাল মহকুমা আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সঞ্জয়কুমার শর্মা ৩০২ ধারায় পাঁচজনকেই দোষী সাব্যস্ত করে ও তার সাথে গতকাল মঙ্গলবার তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়।
সাজাপ্রাপ্তরা এই রায় শুনে বিরোধিতা করতে থাকে আদালত চত্বরে, সাথে থাকা সেই গৃহবধূর ৯০ বছরের শাশুড়ি সেখানে দাড়িয়েই কেঁদে ফেলে।