সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

পুরুষ সং’ক’টে বিশ্বের ৬টি দেশ! ভারত থেকে পুরুষ আমদানি ক’র’তে ই’চ্ছু’ক সে দেশের মেয়েরা

ইউরোপের নাম করা এমন কয়েকটি দেশ আছে, যে সমস্ত দেশে নারী ও পু’রুষের শতকার হারের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। দেশগুলো হল রাশিয়া, লাটভিয়া, বেলারুশ, লিথুনিয়া, আর্মেনিয়া, ইউক্রেন যেখানে মহিলার সংখ্যা পুরুষদের তুলনায় অনেকটা বেশি। আর্মেনিয়ায় প্রতি ১০০ জন পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা ১১৫.৫। লিথুনিয়ায় প্রতি ১০০ জন পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা ১১৭.২। রাশিয়ায় প্রতি ১০০ জন পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা ১১৫.৩। ইউক্রেনে প্রতি ১০০ জন পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা ১১৫.৮৭। লাটভিয়ায় প্রতি ১০০ জন পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা ১১৮.০। বেলারুশে প্রতি ১০০ জন পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা ১১৫.২।

এর মধ্যে বাল্টিক রাষ্ট্র লাটভিয়া সাবেক কমিউনিষ্ট সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে এসে পুঁজিবাদী রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে প্রায় দুই দশক হতে চললো।কিন্তু, পুঁজিবাদি ব্যবস্থায় লাটভিয়া মহিলারা যতোটা এগিয়েছেন, ততোটাই সেখানকার পুরুষরা পিছিয়ে পড়ছেন। লক্ষ্য করে দেখা গেছে, পুরুষদের চেয়ে মেয়েরা সেখানে গড়ে এগারো বছর করে বেশী বাঁচছেন। ফলে, তৈরী হয়েছে নারী-পুরুষের মধ্যে এক সামাজিক ভারসাম্যহীনতা।

লাটভিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী-পুরুষের এই ভারসাম্যহীনতার প্রমাণ পাওয়া যায় – এখানে শিক্ষার্থীদের মধ্যে নারীর সংখ্যা পুরুষের চেয়ে ৫০% বেশী। সমাজবিজ্ঞানী বাইবা বেলা বলছেন, এইসব দেশগুলোতে মেয়েরা যে বয়সে সংসার গড়ার জন্য তৈরী হয় সেই বয়সে দেখা যায় ছেলেরা হয় মারা যাচ্ছে নয়তো আত্মহত্যা করছে। আর এই আত্মহত্যার সংখ্যা হচ্ছে তাদের স্বাভাবিক মৃ’ত্যুর চারগুণ।

নারী-পুরুষের ভারসাম্যহীনতা প্রথম বোঝা যায় ৩০ থেকে ৪০ বছর বয়েসীদের মধ্যে – কারণ ঐ বয়সে যে‘কজন মেয়ে মারা যাচ্ছে – তার চেয়ে তিনগুণ বেশী মারা যাচ্ছে ছেলেরা। আর এসবের মূল কারণ হতে পারে গাড়ী দুর্ঘটনা, মাদকাসক্তি, কর্মস্থলে দু’র্ঘটনা ইত্যাদি। এক্ষেত্রে মেয়েদের চেয়ে ছেলেদের জীবনের ঝুঁকি অনেকটাই বেশী থাকে।