সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

পুনিতের দান করা চোখে ৪ জন দৃ’ষ্টি ফি’রে পেলো, মৃ’ত্যু’র পরেও দেখবেন বিশ্ব

জনদরদী অভিনেতা পুনিত রাজকুমারের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোকাহত তাঁর অনুরাগীর দল। গত শুক্রবার তাঁর মৃত্যু হয়। সেই খবর জানাজানি হতেই দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সকলেই খুব ভেঙে পড়েছেন। পুনিত রাজকুমার নিজে এই জগতে না থাকলে কি হবে, তিনি বেঁচে থাকবেন চার জনের মধ্যে। ভাবছেন কি সব ভুলভাল বলছি তাই তো! আসলে অভিনেতার দান করা চোখ দিয়েই সেই চার জনের দৃষ্টি ফিরল।

অভিনেতার বরাবরই মরণোত্তর দেহ দানের ইচ্ছে ছিল। তাই তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর পরিবার তাঁর শেষ ইচ্ছে পূর্ণ করেছে। ২৯ অক্টোবর কন্নড় স্টারের মৃত্যুর পর তাঁর দুটো চোখ দান করেছে তাঁর পরিবার। কিন্তু ইচ্ছা পূরণ যে খুব তাড়াতাড়িই হয়ে গেল। এই ভেবেই আকুল হচ্ছেন তাঁর পরিবারের সকলেই। পুনিত রাজকুমারের মৃত্যুর পরেই তাঁর ভাই রাঘবেন্দ্র নারায়ণ অভিনেতার চোখ সংগ্রহ করতেখবর পাঠান ডঃ রাজকুমার আই ব্যাঙ্কে। সেই চোখ কাজে লাগিয়ে গত ২ দিনে তিন জন পুরুষ ও একজন মহিলার মোট চারজনের দৃষ্টি ফেরানো হয়েছে।

কিন্তু একজনের চোখ দিয়ে কী আদৌ ৪জনের দৃষ্টি ফেরানো সম্ভব? সে বিষয়ে জানা গিয়েছে নতুন তথ্য। উঠে এসেছে নতুন প্রযুক্তি। একেকটি চোখ দিয়ে ২ জন রোগীর চিকিৎসা হয়েছে। কর্নিয়া প্রতিস্থাপনের কাজ করেছেন ৫ জন ডাক্তারের টিম। চারজন রোগীরই বয়স ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। কোভিড পরিস্থিতিতে চক্ষু প্রতিস্থাপন বন্ধ থাকায় তাঁরা প্রত্যেকেই মাস খানেক ধরে ভুগছিলেন। সেক্ষেত্রে অভিনেতা পুনিত রাজকুমারের একেকটি চোখের কর্নিয়া দুভাগে ভাগ করে প্রত্যেকের চোখে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। এই প্রথম কর্ণাটকে আধুনিক টেকনিক প্রয়োগ করে ১ জনের চোখ দিয়ে ৪ জনের দৃষ্টিশক্তি ফেরানো সম্ভব হয়েছে।

মাত্র ৪৬ বছর বয়সে ইহলোকের মায়া ত্যাগ করলেন এই অভিনেতা। সেদিন সকালের দিকে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পরপরই পুনিতকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। সকাল ১১টা নাগাদ আইসিইউতে স্থানান্তরিত করা হলেও শেষ রক্ষা হয়নি। বেলার দিকে পুনিত রাজকুমার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। পুনিতের চক্ষু দান অবশ্য তাঁর পরিবারে নতুন নয়। এর আগে তাঁর বাবা ডঃ রাজকুমার এবং মা পার্বাতাম্মাও মরণোত্তর চক্ষু দান করেছিলেন।