সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

নি’য়ো’গ দু’র্নী’তিতে মাথায় হাত, তৃণমূল নেতার জামাই-মেয়ে সহ একই পরিবারের ৩ জন চা’ক’রি হা’রা’লে’ন

গত বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন এসএসসি গ্রুপ সি ভুয়ো চাকরিপ্রাপকদের তালিকা তৈরি করার। বিচারপতির নির্দেশের দু’ঘণ্টার মধ্যেই স্কুল সার্ভিস কমিশন ভুয়ো চাকরিপ্রাপকদের তালিকা তৈরি করে। এমনকি তাদের চাকরি-বাতিলের নির্দেশ দেওয়া হয়।

শুধু তাই নয় তারা আর কোনদিনও স্কুলে ঢুকতে পারবেন না এবং স্কুলের কোন জিনিস ব্যবহার করতে পারবেন না বলে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় জেলায় এমন বহু কর্মীরা রয়েছেন যাদের চাকরি চলে গিয়েছে। এরমধ্যে সিংহভাগ জড়িয়ে রয়েছে তৃণমূল ঘনিষ্ঠদের নাম।

মালদা জেলার তৃণমূল নেতার দুই মেয়ে এবং জামাইয়ের নাম রয়েছে চাকরি বাতিলের তালিকায়। যে ৮৪২ জনের চাকরি গেছে তাদের মধ্যে তিনজন মালদার তৃণমূল নেতার ঘরের লোক। হরিশ্চন্দ্রপুর এক নম্বর ব্লকের কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর রামপুর গ্রামের বাসিন্দা তৃণমূল নেতা প্রকাশ দাসের দুই মেয়ে মাম্পি দাস এবং সম্পা দাশ।

আরো খবর: টা’কা ভিনরাজ্যে চ’লে যা’চ্ছে! মাস্টারমাইন্ড-র না’ম বলে দিলেন শান্তনু

মাম্পির স্বামী তথা ওই তৃণমূল নেতার জামাই বিপ্লব দাসের চাকরি গেছে হাইকোর্টের রায়। মাম্পি হরিশ্চন্দ্রপুর হাই স্কুল শম্পা দাস হরিশ্চন্দ্রপুর কিরণমালা বালিকা বিদ্যালয় এবং বিপ্লব দাস কন্যা ভবানীপুর হাই স্কুলের ক্লার্ক পদে কর্মরত ছিলেন। আর এই ঘটনা জানাজানি হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা এলাকায়।

শুধুমাত্র তৃণমূল করবার জন্যই এই পরিবারের তিনজন চাকরি পেয়েছেন বলে দাবি এলাকাবাসীর। বিরোধী কিংবা সাধারণ মানুষ নয় একজন তৃণমূল নেত্রী দাবি করেছেন চাকরির জন্য তারা ২৪ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন।

সমগ্র ঘটনায় দুর্নীতি ইস্যুতে তৃণমূলকে কার্যত তুলোধোনা করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। যদিও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে ডিআই অফিস থেকে এখনো পর্যন্ত এই সংক্রান্ত কোনো রকম তথ্য আসেনি। এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয় তৃণমূল নেতা প্রকাশ দাসকে তিনি সংবাদ মাধ্যমের সামনে কিছুই বলতে চাননি।