সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা থেকে কে’ন তিনি বা’দ পড়লেন? এতদিনে আ’স’ল কা’র’ণ জানালেন বাবুল সুপ্রিয়

বিজেপি দলের সদস্য বাবুল সুপ্রিয়কে নিয়ে বাংলার রাজনীতির পারদ চড়ছে। গত শনিবার ফেসবুক মারফত তার রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার ঘোষণার পর থেকেই কার্যত তাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অন্দরমহলে বহু রটনাই রটছে। উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় রদবদলের সময় বাবুল সুপ্রিয়কে মন্ত্রিত্ব পদ হারাতে হয়েছিল। সেই অভিমানের বশেই তিনি রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন কিনা সেই নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।

এ সম্পর্কে অবশ্য তার বক্তব্য তিনি মনে করছেন রাজনীতিতে বিজেপির কাছে তার প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়েছে। তাই এবার তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নিতে চেয়েছেন। তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের প্রতি তিনি শ্রদ্ধাশীল। প্রধানমন্ত্রী যখন রাজনীতির প্রয়োজনে তাকে পাশে চেয়েছিলেন তখন তিনিও সর্বতোভাবে তৈরি ছিলেন। তবে বিজেপিতে এখন নিজেকে ব্রাত্য বলে মনে করছেন বাবুল সুপ্রিয়।

বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গেও তার দ্বৈরথ ক্রমশ প্রকাশ্যে এসেছে। দিলীপ ঘোষের ‘হাফপ্যান্ট’, ‘রগড়ে দেব’ এর মত মন্তব্যের বারংবার প্রকাশ্যে বিরোধিতা করেছিলেন বাবুল। এছাড়াও শীতলকুচি প্রসঙ্গেও তিনি প্রকাশ্যে দলের বিরোধিতা করেছিলেন। এই নিয়ে বিজেপি দলের অন্দরমহলে গোষ্ঠী কোন্দলের আভাস পাওয়া গিয়েছিল।

বাবুল সুপ্রিয়র বক্তব্য, মঞ্চে যখন মিঠুন চক্রবর্তী, পায়েল, শ্রাবন্তীদের মতো ব্যক্তিত্বরা থাকেন, তখন এই ধরনের মন্তব্য সমীচীন নয়। বিশেষত দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের জন্য দলের ভাবমূর্তি খর্ব হয়েছে বলে তিনি মনে করেন। আর এই কথাগুলি প্রকাশ্যে বলার জন্যই তিনি দলে অপ্রিয় হয়েছেন বলে মনে করছেন। তাই তিনি সবদিক বিবেচনা করে রাজনীতি ছাড়ছেন। রাজনীতি থেকে তার এই অবসর গ্রহণকে তিনি ‘বিজেপি দল ত্যাগ’ বলতে নারাজ। নিজের সমর্থনকারীদের কথা ভেবেই তিনি বিজেপি দল ছাড়ার কথা একবারও বলেননি। বদলে রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়াই সমীচীন মনে করেছেন।