কিছুদিন আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুয়ারে রেশন প্রকল্পে ৪২ আজার কর্মসংস্থানের কথা ঘোষণা করেছিলেন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে। কিন্তু ঘোষণার পরেই নিয়োগ করা কর্মচারীদের বেতন দেওয়া নিয়ে মতবিরোধ দেখা গেছে ডিলার সংগঠনের সঙ্গে রাজ্য সরকারের। পুরনো কর্মীরা কিভাবে বেতন পাবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ডিলাররা। মঙ্গলবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দুয়ারে রেশন প্রকল্পের কথা ঘোষণা করতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ২১ হাজার রেশন দোকানে দুজন করে লোক নিয়োগ করা হবে অর্থাৎ মোট প্রার্থী নিয়োগ করা হবে ৪২ হাজার। কর্মচারীদের বেতন হবে মাসিক ১০,০০০ টাকা করে।এরমধ্যে রাজ্য এবং ডিলার দেবে পাঁচ হাজার টাকা করে। কিন্তু এই টাকার ভাগাভাগি নিয়ে আপত্তি তুলেছিল ডিলারদের একটি বড় অংশ।
জয়েন ফোরাম ফর ওয়েস্ট বেঙ্গল রেশন ডিলারের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু বলেন, আমাদের পক্ষে টাকা দেওয়া সম্ভব না। টাকা কোথা থেকে আসবে। আমরা কোথায় পাবো? সব সরকার জানে। আমাদের টাকা দেওয়ার কোন সুযোগ নেই। সোমবার আমাদের সাংগঠনিক বৈঠক আছে। লক্ষ্য মন্ত্রীকে বিষয়টি আমরা বুঝিয়ে বলব। দিদিকে ব্যালেন্স শিট দিয়ে দেবো।
বিশ্বম্ভরবাবু আরো বলেন, মুখ্যমন্ত্রীকে বিষয়টি ঠিকমতো বোঝানো হয় নি। উনি বলেছেন, ২০ হাজার ডিলার। ৫ হাজার করে রেশন কার্ড। সব মিলিয়ে মাসে ৩০ হাজার টাকা আসে। কর্মচারীদের বেতন, ইলেকট্রিসিটি, ট্রেড লাইসেন্স, রেন্ট এই সমস্ত কিছু তো খরচ আছে। মাসের শেষে সংসার চালাবো কি করে?
ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী রেশন ডিলারদের গাড়ি নিয়েও নতুন ঘোষণা করেছেন।প্রত্যেক ডিলারকে নতুন গাড়ির জন্য দেওয়া হবে ১ লক্ষ টাকা। এই প্রসঙ্গে বিশ্বম্ভরবাবু বলেন, আমরা গাড়ি নিয়ে রেশন সামগ্রী আনতে যাব। গাড়ি থাকলে পরিমাণ এবং সরবরাহ ঠিকমতো হবে। এই বিষয়টি আমরা দিদিকে সভায় বলেছিলাম। কিন্তু ঘোষণা করার সময় উনি কিছু বললেন না। যদিও দোকানে বাজারে এখনও শ্রমিকদের অল্প বেতনে কাজ করতে হয়। সে ক্ষেত্রে রেশন দোকানে নতুন নিয়োগের তাদের বেতন কিছুটা বাড়বে বলে মনে করছেন সকলে।