প্রত্যেকটি রাশির উপর বিভিন্ন সময় কোনো না কোনো গ্রহ বিরাজ করে। তাই যে সময়ে যে রাশির উপর গ্রহ বিরাজ করে সেই সময়ের জন্য ওই রাশির জাতিকাদের জীবনে বেশ টানা পড়ে চলে। এবার কিছু গ্রহের উপর প্রায় ১৪১ দিন ধরে গ্রহরাজ শনি বিপরীতমুখী প্রতিক্রিয়া দেবে। তাই ২০২৩ সাল পর্যন্ত ধনু রাশির উপর শনি কুপ্রভাব ফেলবে।
এর ফলে ধনু রাশির জাতক জাতিকাদের শনির সাড়েসাতির দশা চলবে। ধনু রাশির পাশাপাশি মকর রাশি এবং কুম্ভ রাশির উপরেও শনির অর্ধ শতাব্দী চলবে। শনির সাড়ে সাতি ও অর্ধ শতাব্দী চলায় ওই রাশির জাতক-জাতিকারা বেশ সমস্যার মধ্যেই জীবন যাপন করবেন। তবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় আছে।
জ্যোতিষশাস্ত্র মতে সপ্তধান্য হল শনিদেবের খুবই প্রিয় জিনিস। তাই শনিদেব কে যদি প্রতিদিন এই সাপ্ত্যধন্য নিবেদন করা যায় তবে তিনি ধন্য হবেন। ধান, গম, বার্লি, ভুট্টা, তিল, বিউলি এবং মুগডাল কে একসঙ্গে সপ্তধান্য বলা হয়। এখন প্রশ্ন হল এই সপ্তধান্য শনিদেবের এত প্রিয় কেন? একবার শনিদেব খুব ভয় পেয়েছিলেন। তখন নারদ মুনি শনিদেব কে জিজ্ঞাসা করেন যে শনিদেবের এত ভয়ের কারণ কি।
আরো পড়ুন: ফ্ল্যাট থেকে বি’শি’ষ্ট অভিনেতার দেহ উদ্ধার, শো’কে’র ছা’য়া ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে
শনিদেব তখন বলেন যে সাত সন্ন্যাসীর কর্মফল বিচার করে তাদেরকে শাস্তি দিতে হবে তাকে। তখন নারদ মুনি শনিদেবকে বলেন যে সন্ন্যাসীদেরকে তিনি যেন ভালো করে পরীক্ষা করে তবেই শাস্তি দেন। যেমন বলা তেমন কাজ। শনিদেব তখন এক ব্রাহ্মণের ছদ্মবেশ ধারণ করে ওই সাত সন্ন্যাসীর কাছে পৌঁছান।
সাত সন্ন্যাসীর কাছে শনিদেব পৌঁছালে ওই সাত সন্ন্যাসীর শনির দশা চালু হয়। তখন ওই সন্ন্যাসীগণ বলতে শুরু করেন যে শনিদেব হলেন সূর্যদেবের পুত্র আবার তিনি মহাদেবের বরপ্রাপ্ত। শনিদেব হলেন কর্মফলের দেবতা।
তাই কর্মফল যদি খারাপ করা হয় তাহলে শনিদেবের কাছে শাস্তি তো পেতেই হবে। এইসব শুনে শনিদেব ওই সন্ন্যাসীদের উপর তুষ্ট হন তখন সন্ন্যাসীরা প্রত্যেকে একটি করে শস্য দিয়ে তার পূজা করেছিলেন। সেই শস্য গুলির একত্রে নামই হল সপ্তধান্য। আর এই সপ্তধান্য পেলে আজও শনিদেব কৃপা করেন।