অনেকেই নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে চান। কেউ সাংসারিক কলহ থেকে মুক্তি পেতে চান, কেউ বা দীর্ঘকালীন আর্থিক সঙ্কট থেকে উদ্ধার হতে চান। তাই সেইসব সাধারণ মানুষের জীবনে গ্রহরত্ন-পাথরের প্রভূত প্রভাব বিদ্যমান। অনেক সময়েই নিজস্ব সংকট কাটিয়ে ওঠার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে বিশেষ পাথর বা রত্ন ধারণ করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা।
কারণ এই সব রত্ন বিশেষ বিশেষ গ্রহের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে। এবং এগুলি নানা গ্রহের অশুভ শক্তিকে কাটিয়ে আমাদের জীবনকে ব্যাপক ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। আর আমাদের উপর সাধারণত অশুভ প্রভাব ফেলে শনি, রাহু ও কেতু। এদের অশুভ প্রভাব কাটানোর জন্য কিছু বিশেষ রত্ন ধারণ করতে হবে।
জ্যোতিষ বিশারদের কথা অনুযায়ী, শনি রাহু কেতুর অশুভ প্রভাব কাটাতে সাধারণত তিন ধরনের পাথর ধারণ করতে হয়। শনির অশুভ শক্তি কাটানোর জন্য নীলা, রাহুর জন্য ওনিক্স বা গোমেদ আর কেতুর জন্য লাশুনিয়া দরকার। তবে ল্যাপিস ল্যাজুলি বা নীলকান্ত মণি এমন একটি পাথর যা ধারণ করলে এই তিনের সামগ্রিক অশুভ প্রভাবই কাটানো যায়।
এই পাথরের আরও নানা সুবিধা আছে। যেমন, অ্যাকসিডেন্ট এড়াতে সুবিধা হয়। হঠাৎ করে টাকাপয়সা খোওয়া গেলেও এই জেমস্টোন সেই ব্যক্তিকে মানসিক ভাবে সাহায্য করে। ব্যবসার উন্নতির ক্ষেত্রেও প্রভূত সহায়তা করে। জন্মকুণ্ডলীতে সূর্যগ্রহণ বা চন্দ্রগ্রহণ সংক্রান্ত কোনও দোষ থাকলে তা-ও এতে কেটে যায়। এটা আংটি বা লকেটের মাধ্যমে শরীরে ধারণ করা যায়। শনিবার শনির মন্ত্র পাঠ করে শোধন করে এই পাথর ধারণ করতে হবে।