জ্যোতিষশাস্ত্রে বিভিন্ন গ্রহ ও নক্ষত্রের প্রভাবকে খুব গুরুত্বপূর্ন একটা বিষয় ভাবা হয়ে থাকে। যেমন রাহুকে ক্ষতিকারক গ্রহগুলির মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এই গ্রহগুলির প্রভাব ব্যক্তির জীবনে শুভ ও অশুভ উভয় দিকেই প্রভাব ফেলে। এমনও বলা হয় যে, যদি কোনো ব্যক্তির কুণ্ডলীতে রাহুর দোষ থাকে তাহলে সেই ব্যক্তিকে জীবনে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
কুণ্ডলীতে রাহু দোষ মানসিক, শারীরিক ও আর্থিক সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিকে ঘিরে থাকে। রাহুর দুর্বলতার লক্ষণগুলো সময়মতো শনাক্ত করা গেলে জ্যোতিষশাস্ত্রীয় কিছু ব্যবস্থার মাধ্যমে এই লক্ষণগুলো দূর করা যায়।
আবার ধরুন কোনো ব্যক্তির জীবনে রাহু ভালো দিকে অবস্থান করছেন তাহলে তাঁর জীবনে আবার কোনো দিক থেকেই তেমন সমস্যা ভোগ করতে হয় না।
সুখ ও সমৃদ্ধি দুটোই ভরপুর থাকে। তবে যদি কোনো ব্যক্তির জীবনে রাহুর খারাপ প্রভাব পড়ে সেই ব্যক্তির স্বাস্থ্যের উপর গভীর প্রভাব পড়ে। এমন ব্যক্তির ঘুম কম হতে শুরু করে। যখন সে ঘুমায়, তখন সে ভয়ানক স্বপ্ন দেখে, যার কারণে সে পূর্ণ ঘুমাতে পারে না। সবসময় একটা ভয়ের অনুভূতি থাকে। যার কারণে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। কুণ্ডলীতে দুর্বল রাহু ব্যক্তির মানসিক উত্তেজনা বৃদ্ধি করে। আসুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে রাহু দোষ কাটাবেন।
আরো খবর: সামান্থার দশম শ্রেণীর রি’পো’র্ট কা’র্ড সোশ্যাল মিডিয়ায়, নম্বর দেখলে চোখ ক’পা’লে উঠবেই
১। রাহুর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া এড়াতে, একজন ব্যক্তির প্রতিদিন শিবলিঙ্গে জলাভিষেক করা উচিত।
২। রাহুর নজর রয়েছে এমন ব্যক্তিকে রৌপ্য অলঙ্কার পরতে হবে। এতে ব্যক্তির মন শান্ত থাকবে।
৩। রাহুর দুর্ভোগ এড়াতে ভ্রম ও শীতল প্রাণায়াম করা উপকারী।
৪। যদি রাহুর ক্রোধ কোনও ব্যক্তির উপর খুব বেশি হয় তবে এর জন্য রাহু শান্তির আচার করা যেতে পারে।
৫। রবিবার ভৈরব জির দর্শন করলে উপকার পাওয়া যায়। রাহুর প্রভাবে কোনো সংকট দেখা দিলে তা কেটে যায়।
তাই আজই নিজের রাশিফল দেখে নিন, রাহুর কুপ্রভাব থাকলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেই দোষ কাটান নয়তো জীবনে আপনার আরো খারাপ দিন আসবে যা আপনি আশা করেন নি।