প্রাথমিকের ৩৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল হয়েছে। অভিজিৎ গাঙ্গুলির এই নির্দেশের পরে এই সংক্রান্ত শুনানি হয়েছে ডিভিশন বেঞ্চে। চাকরি হারারা সকলে ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করেছিলেন। তবে এতে যে তাদের খুব একটা সুবিধা হয় নি সেটা প্রমাণিত হয়েছে ডিভিশন বেঞ্চের রায়।
জানিয়েছে বিচারপতি চাকরি হারাদের কোন নেকড়ের মুখে ফেলে দেয়নি তারা ইচ্ছে করে আবার নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারেন। প্রসঙ্গত প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়।
সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চতর বেঞ্চের দারস্ত হয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। মঙ্গলবার সেই মামলাটি শুনানির জন্য হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে ওঠে।
একক বেঞ্চ তো আবার নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নেবার সুযোগ দিয়েছে তবে আপনারা কেন তার সদ্ব্যবহার করছেন না। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় কাউকে তো নেকড়ের মুখে ফেলে দেন নি।
এদিকে চাকরি হারাদের তরফে এদিন সওয়াল করেছিলেন আইনজীবী তথা তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এদিন বলেন বিচারাধীন মামলার বাইরে গিয়ে মাঝেমধ্যেই নানান ধরনের মন্তব্য করতে শোনা যায়।
এই প্রসঙ্গে আইনজীবী তরুণ জ্যোতি তিওয়ারি চাকরি হারাদের বিরুদ্ধে পাল্টা যুক্তি দিয়ে জানিয়েছেন অনিয়ম হয়েছে তা পর্ষদের প্রকাশিত প্যানেল থেকে বোঝা যাচ্ছে।
চাকরি দেওয়া নিয়ে এত কথা হচ্ছে অথচ যারা চাকরির জন্য বসে আছেন তাদের স্বপক্ষে কেউ কোন যুক্তি দিচ্ছেন না। দুই পক্ষের মতামত শুনে বিচারপতি তালুকদার জানিয়েছেন আমরা এ ব্যাপারে জানার চেষ্টা করব ।বুধবার রয়েছে পরবর্তী শুনানি।