সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

এ জ’ন্মেই পরের জ’ন্মে’র র’হ’স্য লু’কি’য়ে আছে! কি বলছে গরুঢ় পু’রা’ণ

কথায় বলে “এ জন্মের ফল এজন্যই পেতে হবে, পরজন্মে নয়”আমরা প্রত্যেকেই পরজন্ম নিয়ে বিশ্বাসী এবং প্রত্যেকের মধ্যেই একটি জানার আগ্রহ রয়েছে মৃত্যুতেই কি জীবনের শেষ, মৃত্যুর পরে কি হয় আমাদের এই নিয়ে আমাদের কৌতুহলের শেষ নেই কিন্তু পরজন্মের রহস্য লুকিয়ে রয়েছে গরুঢ় পুরানে। সেখানেই পরজন্ম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা রয়েছে।

গরুর পুরান হল হিন্দু ধর্মের আঠারোটি পুরাণের একটি। মূলত এখানে মৃত্যু পরবর্তী অবস্থা, মৃত্যু, জন্মান্তর নিয়ে শ্রীবিষ্ণু ও তাঁর বাহন গরুঢ় পাখির মধ্যে যে আলোচনা হয়েছে তাই লেখা রয়েছে। এমনকি হিন্দু ধর্ম জন্মন্তর বাদে বিশ্বাসী। তাঁরা মনে করেন মৃত্যুতে শুধুমাত্র দেহের মৃত্যু ঘটে আত্মার নয়।

আত্মা আবার নতুন করে অন্য দেহে জন্ম নেয়। তবে জীবনের কর্মফল ঠিক যেমন ভোগ করতে হয় এজন্যে তেমনি পরজনমেও নাকি ভোগ করতে হয়। আসুন জানবো গরুঢ় পুরানে জন্মান্তর নিয়ে কি লেখা রয়েছে:

কাউকে ঠকিয়ে জিতে যাওয়ার মানসিকতা থেকে বিরত থাকুন কারণ এ জন্মে কাউকে ঠকালে পরের জন্মে তার ফলস্বরূপ পেঁচা হয়ে জন্মাতে হবে।

আরো খবর: ব’ড়ো ব’ড়ো সব ধনী পরিবারের মেয়েকে বি’য়ে করেছেন ভারতীয় দলের ক্রিকেটাররা, হ’চ্ছে টাকার বৃষ্টি

পিতা-মাতা এবং সন্তানের ওপর অত্যাচার করলে পরে জন্মে আর পৃথিবীর আলো দেখার সৌভাগ্য হয় না।

কোন নারীর উপর অত্যাচার করলে পরের জন্মে সে ব্যক্তিকে রুগ্ন হয়ে জন্ম নিতে হয়। সর্বদা তাঁকে অসুখ এবং শারীরিক যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়।

গুরু ব্রহ্মা গুরু বিষ্ণু অর্থাৎ গুরু দেবতার তুল্য। তাঁকে অসম্মান করলে পরের জন্মে জলকষ্টে সহ্য করতে হয় বলেই লেখা রয়েছে। গরুঢ় পুরানে এছাড়াও ব্রহ্মরাক্ষসের রূপ ও ধারণ করতে হতে পারে।

কারোর বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষী দিলে পরের জন্মে জীবনে অন্ধত্ব নেমে আসতে পারে।

খুন, ডাকাতি, চোরাশিকারীদের পরের জন্য ছাগল রূপে জন্মাতে হবে এবং কসাইয়ের হাতে নির্মমভাবে হত্যা হতে হবে।

কোন নারীর হত্যা করলে বা তাঁর গর্ভপাত করালে তা নরক যন্ত্রণার সমান। পরের জন্মে চন্ডাল যোনিতে জন্ম নিতে হবে।

যে কোনো কারো সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের ফল পরজনমে নপুংসক হয়ে জন্মানো।

এর থেকে এটাই স্পষ্ট জন্ম হোক যত্রতত্র কর্ম হোক ভালো অর্থাৎ কর্মফলই কথা বলে। তাই কর্মফল অবশ্যই ভালো করা উচিত , কারণ সেটুকুই আমাদের হাতে রয়েছে।