ঘর বন্দী দশা কাটাতে কাটাতে মানুষ হাঁপিয়ে উঠেছিল, তাই মানুষ মজে ছিল মুঠোফোনে, কারণ বর্তমানে স্মার্টফোনের যুগে ঘরে বসে হাতের মুঠোয় পৃথিবী পাওয়া হাতে চাঁদ পাওয়ার থেকেও সহজ।
স্মার্টফোনের সাথে সাথে আমরা নিজেরাও অত্যন্ত স্মার্ট হয়ে গেছি, এমনকি নতুন প্রজন্ম আরো বেশি অ্যাডভান্স হয়ে উঠেছে, বর্তমানে তারা স্মার্টফোন ব্যবহার এতটাই অভ্যস্ত যে কখনও কখনও তাদের কাছ থেকে আমাদেরই অনেক বিষয় শিখতে হয়।
২০২০ সালে সম্পূর্ণ পৃথিবী স্তব্ধ হয়ে গেছিল, ২০২১ সাল থেকে তো তবু অনলাইন ক্লাস শুরু হয়েছিল, যে কারণে সোশ্যাল মিডিয়াও নিজেকে আরো উন্নত প্লাটফর্মে গড়ে তুলেছে দিন প্রতিদিন।
কিন্তু কিছু বিষয়ের যেমন ভালো দিক আছে আবার কিছু ক্ষতিকারক দিকও আছে। ঠিক যেমন বাচ্চারা মোবাইল হাতে পেয়ে ক্লাস, পড়াশোনার চাইতে গেম খেলতে মত্ত হয়ে উঠেছে। কেউ আবার নীল ছবি দেখতে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে। এমনি সব কান্ড-কারখানা ঘটাচ্ছে এবং ধরাও পড়ছে বাবা-মার কাছে।
তাই অভিবাবকরা শিক্ষকদের কাছে আর্জি জানিয়েছেন অবিলম্বে যেন স্কুল খোলা হয়। তাই অভিভাবকদের কথা মাথায় রেখে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ জানিয়েছেন আগামী ২৫ শে ডিসেম্বরের আগেই প্রথম শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণীর জন্য স্কুল খুলে দেয়া হবে।
কারণ সঠিক পঠন-পাঠনই একজন ছাত্রকে সুনাগরিক করে তুলতে পারে, না হলে এই মোবাইলের চক্করে ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ জীবন রসাতলে যেতে বসেছে।
