সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

গেরুয়া শিবিরে শুভেন্দুর গু’রু’ত্ব আরো বা’ড়’লো, ব’ড়ো সিদ্ধান্তের প’থে রাজ্য বিজেপি

এবার থেকে বিজেপির অভ্যন্তরে সভাপতি এবং বিরোধী দলনেতার পদমর্যাদার মধ্যে থাকবে না কোনো ফারাক। দলের নতুন সাংগঠনিক নিয়ম অনুসারে এবার থেকে দিলীপ ঘোষ এবং শুভেন্দু অধিকারী পদমর্যাদার নিরিখে সমান সমান গুরুত্ব পাবেন। সংঘের নিয়ম ভেঙে বেনজির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে চলেছে রাজ্য বিজেপি। বিজেপির আসন্ন রাজ্য কর্মসমিতির বৈঠকে এমনই প্রস্তাব পেশ হতে চলেছে।

২৯শে জুন রাজ্য বিজেপির কর্ম সমিতির বৈঠক বসতে চলেছে। ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের শীর্ষ-নেতাকর্মীরা। বিধায়ক, সাংসদরা ছাড়াও বিভিন্ন সেল, শাখা ও জেলার নেতারাও বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন বলে জানানো হয়েছে। সম্ভবত ওই বৈঠকেই বিজেপির বিরোধী দলনেতার ক্ষমতা বৃদ্ধির প্রস্তাব পেশ হতে চলেছে বলে গুঞ্জন উঠেছে রাজনৈতিক মহলে।

এ প্রসঙ্গে বিজেপির সহ-সভাপতি রাজ কমল পাঠক জানালেন, পশ্চিমবঙ্গে এর আগে কখনো বিজেপি বিরোধী দলের মর্যাদা পায়নি। ফলে বিজেপির তরফ থেকে এর আগে কেউ বিরোধী দলনেতা হননি। তবে এই দফায় কংগ্রেস, সিপিএমের উপর মানুষের বিশ্বাস উঠে গিয়েছে। মানুষ বিজেপিকে বিরোধী দল করেছেন। এই সময় তাই বিজেপির দায়িত্ব অনেক বেশি। সেই কারণেই সভাপতি এবং বিরোধী দলনেতাকে একসঙ্গে সামনে রেখে লড়াই করার প্রস্তুতি চলছে।

প্রসঙ্গত জাতীয় স্তর এবং রাজ্যস্তরে বিজেপি সাধারণত এতদিন সভাপতি নির্ভর দল হিসেবেই ছিল। সাংগঠনিক ক্ষেত্রে দলের সাধারণ সম্পাদক চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন। সংঘর্ষ সুনজরে রয়েছেন দিলীপ ঘোষ। তার নেতৃত্বে খুশি দল। এদিকে আবার দলের নবাগত সদস্য শুভেন্দু অধিকারী প্রতিও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বেশ খুশি। অতএব দিলীপ ঘোষ এবং শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে টেক্কা দেওয়ার কথা বিবেচনা করছে বিজেপি।