সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

পকেট ভেন্টিলেটর, ক’রো’না কা’লে বি’রা’ট আ’বি’ষ্কা’র কলকাতার বিজ্ঞানীর, দেখে নিন

করোনাকালে ভেন্টিলেটরের অভাবে মৃত্যু হয়েছে বহু মানুষের। ভেন্টিলেটরের খরচ সামলানোও সাধারণের পক্ষে সম্ভব নয়। ভেন্টিলেশনে রোগীকে রাখা মানে প্রচুর ব্যায়সাধ্য ব্যাপার। করোনাকালীন নিত্যদিন ভেন্টিলেটরের অভাব এবং প্রচুর ব্যায়সাধ্য চিকিৎসা ব্যবস্থার সম্পর্কে বিবেচনা করে কলকাতার বাসিন্দা রমেন্দ্রলাল মুখার্জি বানিয়ে ফেললেন পকেট ভেন্টিলেটর। এই ভেন্টিলেটরের আকার-আকৃতি এতটাই কম যে আপনি চাইলে অনায়াসেই তা যে কোনো জায়গায় বহন করতে পারবেন।

দামে কম এবং ওজনে অত্যন্ত হালকা এই পকেট ভেন্টিলেটর। কলকাতার এই বিজ্ঞানী বুদ্ধি খাটিয়ে নিজে থেকেই তৈরি করে ফেলেছেন এই অভিনব আবিষ্কারটি। আসলে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি এবং তার পরিবারের সদস্যরাও। তখন তার শরীরের অক্সিজেন স্যাচুরেশন মাত্রা ৮৮ এর নিচে নেমে যায় একসময়। সে যাত্রায় অবশ্য কোনক্রমে বেঁচে গেছেন তিনি। এরপর থেকেই তিনি নিজে থেকে ভেন্টিলেটর বানানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।

যেমন ভাবা তেমন কাজ। বাজার থেকে প্রয়োজনীয় সমস্ত সরঞ্জাম কিনে নিয়ে মাত্র কুড়ি দিনের মধ্যেই তিনি বানিয়ে ফেলেন ভেন্টিলেটর। পাওয়ার ইউনিট এবং মাউথপিসের সঙ্গে সংযুক্ত ভেন্টিলেশনের অংশ দিয়েই তৈরি করা হয়েছে এই যন্ত্রটি। তার তৈরি ভেন্টিলেটরের পাওয়ার অন করলেই বাইরে বাতাস সংগ্রহ করে তা আল্ট্রাভায়োলেট চেম্বার দিয়ে প্রবেশ করে এবং বাতাসে উপস্থিত সমস্ত জীবাণু মেরে ফেলে।

এই যন্ত্রের মধ্যে রয়েছে একটি মেশিন যা শুদ্ধ বাতাস দ্রুত শরীরে প্রবেশ করানোর কাজ করে। রোগী তার শরীর থেকে যে কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে ছাড়ে, তা ওই ইউভি চেম্বারের মধ্য দিয়েই বেরিয়ে আসবে। যার ফলে রোগীর নিশ্বাস এর মধ্যে থাকা করোনা ভাইরাসও নির্মূল করা সম্ভব। এমন উপকারী যন্ত্রটির ওজন মাত্র ২৫০ গ্রাম। এর মধ্যে রয়েছে একটি ব্যাটারি যা স্মার্টফোন চার্জ দেওয়ার ইউএসবি দিয়েই চার্জ করা যায়।