সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

শহর কলকাতায় কি চলবে না স্টার জলসা-জি বাংলা? মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি

গত শনিবার কলকাতার ১৫ লক্ষ বাড়িতে টিভি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। একেবারে ব্ল্যাকআউট যাকে বলে, কিন্তু হঠাৎ এমনটা হওয়ার কারণ কি? কারণ হিসেবে জানা যাচ্ছে তাদের নির্ধারিত মূল্যবৃদ্ধি অস্বীকার করেছিলেন মাল্টি সিস্টেম অপারেটররা। এই টিভি বন্ধ হয়ে যাওয়ার সাথে সাথেই দারুণভাবে বিক্ষোভ শুরু হয়।

কারণ অনেকেই নিজের পছন্দের প্রোগ্রাম দেখতে পারেনি টিভিতে। বিশেষ করে খেলা প্রেমীদের জন্য সেদিন ছিল ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া টেস্ট ম্যাচ। কিন্তু হঠাৎ করে টিভি বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে সেই খেলা তারা দেখতে পারেনি। স্বাভাবিকভাবেই বাড়ির বয়স্করা তাদের পছন্দের সিরিয়াল দেখতে পারেনি। এর কারণেই আরও ক্ষুব্ধ হয়ে গেছে তারা।

সন্ধ্যা হলেই প্রত্যেক বাড়িতে টিভির পর্দায় স্টার জলসা ও জি বাংলা দেখতে বসে যায় সবাই। সেই চ্যানেল তারা দেখতে পারেনি সেদিন।হ্যাথওয়ে, জিটিপিএল-কেসিবিপিএল, ডেন, ফাস্টওয়ের মতো কেবল অপারেটররা বর্তমানে কেবল এর মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি পরিষেবা দিয়ে থাকে।

আরো খবর: শীত বাই বাই জা’না’লো বাংলাকে, ক’বে থেকে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা? কি বলছে হাওয়া অফিস?

তাদের মাধ্যমে সবাই বিভিন্ন চ্যানেল দেখতে পারে , কিন্তু স্টার, জি, সোনির মতো বড় বড় সংস্থার মূল্যবৃদ্ধি মানতে নারাজ ছিল এই মাল্টি সিস্টেম অপারেটররা। তাই তারা সেইসব চ্যানেল চালাতে নারাজ। তাই তার ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা, কলকাতার ১৫ লক্ষ বাড়ির টিভি এই কারণে ব্ল্যাকআউট।

শুধু কলকাতা নয় তার আশেপাশে জেলাগুলি তেও একই অবস্থা। এদিকে হাওড়া, হুগলি,উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার সব জায়গায় একই অবস্থা। জনপ্রিয় টিভি চ্যানেলগুলি থেকে ৪১ লক্ষের মতো মানুষ একেবারে বঞ্চিত।

তবে মনে করা হচ্ছে এই সমস্যার সমাধান আগামীতে ঘটতে চলেছে। কিন্তু অপারেটররা জানাচ্ছে আদালতের তরফ থেকে এই বিষয় নিয়ে স্থগিতাদেশ দিয়েছে কুড়ি তারিখ পর্যন্ত। আর ঠিক এই অবস্থায় চ্যানেল বন্ধ করে দেওয়া ব্রডকাস্টরদের জন্য একটি বেআইনি কাজ।