হিন্দু সনাতন ধর্মে কিছু প্রতীককে অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। বিশেষ করে বাড়ির বিভিন্ন শুভ স্থানে এই চিহ্নগুলি রাখলে বাড়িতে আসে সমৃদ্ধি সুখ এবং ধন-সম্পদ বৃদ্ধি পায়। তেমনি একটি চিহ্ন হলো স্বস্তিক চিহ্ন। সু এবং অস্থি এই দুটি শব্দের সমন্বয়ে গঠিত এই স্বস্তিক চিহ্ন। অর্থাৎ সকল মানুষ ভালো থাকুক বা তাদের ভালো থাকার অস্থি হোক এটা বোঝাতেই স্বস্তিক চিহ্ন ব্যবহার করা হয়।
স্বস্তিক চিহ্নকে ভগবান গণেশের প্রতিক হিসেবেই ধরে নেওয়া হয়। স্বস্তিক আসলে একটি সংস্কৃত শব্দ। কল্যাণ বা মঙ্গল কামনার্থে এই স্বস্তিক চিহ্নটি ব্যবহার করা হয়। যদিও এর নির্দিষ্ট কোন অর্থ নেই বললেই চলে স্বস্তিকা শব্দটি একটি সংস্কৃত শব্দ যার অর্থ হলো সুস্থ হওয়া বা শুভকামনা।
তাই মনে করা হয় কারো শুভকামনা চাওয়ার জন্যই এই বিশেষ চিহ্ন ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন নামে এটি বিভিন্ন দেশে পরিচিত যেমন চিনে একে বলা হয় ওয়ান, জাপানে মঞ্জি, ইংল্যান্ডে ফাইল ফোর্ট, জার্মানিতে হাকেনক্রোয়েজ, গ্রিসে পেত্রা ঘামাদিয়ান।
তবে অনেকে মনে করে থাকেন সূর্যের কথা ভেবেই এই স্বস্তিক চিহ্ন তৈরি হয়েছে। জ্যোতিষীদের মতে যে কোন যাত্রা শুরু করার আগে এই চিহ্ন দেখে বেরোনো অত্যন্ত শুভ। সিঁদুর অথবা হলুদ দিয়ে এই চিহ্ন তৈরি করা যেতে পারে বাড়ির উত্তর-পূর্ব দিকে।
বিশেষ করে বাড়ির প্রধান দরজা এবং পূজোর ঘরে এই চিহ্ন আঁকতে পারেন। বাড়িতে কখনো কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়ে না।। স্বস্তিকার প্রতীক তৈরি করবার সময় মনে রাখবেন এটি যেন নয় আঙ্গুল লম্বা এবং চওড়া হয়।