শনিদেবকে বলা হয় ন্যায়ের দেবতা। বর্তমানে শনির সাড়েসাতির দ্বিতীয় পর্যায়ে চলছে। কুম্ভ রাশির মকর এবং মীন রাশিতে চলছে এই দশা। যেসব রাশির এই দশা চলছে তাদের শনিদেবকে প্রসন্ন রাখা অত্যন্ত জরুরি। কোন কোন কাজ করবেন আর কোন কোন কাজ করবেন না তাকে তুষ্ট রাখতে তা কি জানেন।
বিশেষ করে যারা ধূমপান করেন এবং যাদের পেটে ভুড়ি রয়েছে তাদের শনিদেব একেবারেই সহ্য করতে পারেন না।অহংকারী ব্যক্তিদের শনিদেব মোটেও পছন্দ করেন না। অহংকার এবং আত্মবিশ্বাস দুই আলাদা তাই এত বিশ্বাসী হলেও অহংকারী মানুষকে কখনোই আশীর্বাদ করেন না শনিদেব।
যেসব মানুষ পরিস্থিতি অনুযায়ী অন্য কারোর থেকে শিক্ষা নেন না কিংবা অন্য কাউকে মানুষ বলে গণ্য করেন না তাদের বিরুদ্ধে নানান ব্যবস্থা নিয়ে থাকেন শনিদেব। শনিকে তুষ্ট রাখতে নিজের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
এসব জাতক জাতিকাদের ভুঁড়ি নিয়ন্ত্রণে নেই তারা শারীরিক নানান সমস্যায় ভুগতে পারেন শনিদেবের কু নজরে। ভাজাভূজি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন শনিদেবতাকে তুষ্ট করতে মদ এবং মাংস পরিত্যাগ করতে হবে।
বিশেষ করে প্রতিদিন এক মুঠো অঙ্কুরিত ছোলা মুগ খেলে বিশেষ প্রসন্ন হয়ে থাকেন শনিদেব। নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নবান হলে দেবতা আপনার প্রতি যত্নবান হবেন তাছাড়া কুড়ে ব্যক্তিকে তিনি মোটেও সহ্য করতে পারেন না।
অসহায় মানুষকে সাহায্য করলে শনিদেব সহজেই প্রসন্ন হন বিশেষ করে যারা বজরংবলীর আরাধনা করেন এবং প্রতি মঙ্গল ও শনিবার স্নান করে হনুমান চালিশা পাঠ করেন তাদের সুনজরে দেখেন শনিদেব।