এবার থেকে দেওয়া হবে যক্ষ্মা চিকিত্সার জন্য মাসিক ভাতা। স্বাস্থ্যভবনের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে এই ভাতা পেতে পৃথক অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে না। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারেই মিলতে পারে ভাতা। নবান্ন থেকে অনুমতি মিললেই কর্মসূচি শুরু হয়ে যাবে।
২০২৫ সালের মধ্যে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ করা হবে – বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা(WHO) ও কেন্দ্র এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই অনুযায়ী সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসজুড়ে গোটা রাজ্যে নতুন যক্ষ্মা রোগী খুঁজে বের করে চিকিত্সা শুরু হবে। এই কাজে যুক্ত করা হয়েছে আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের। সাহায্য নেওয়া হবে বেসরকারি টিবি ক্লিনিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার। সেই সাথে যক্ষ্মারোগীদের মাসিক ভাতাও পরিশোধ করা হবে। স্বাস্থ্য ভবনের যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ সেলের অভিমত, পুরানো যক্ষ্মা রোগীদের আগে থেকেই ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা আছে এবং তাতে ভাতা বা চিকিত্সা খরচ পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু নতুন যে সব নতুন রোগী চিহ্নিত হয়েছেন তাঁদেরও চিকিত্সাভাতা দিতে হবে।
স্বাস্থ্য ভবনের এক কর্তার কথায়, ‘রোগীর নামে কোনও অ্যাকাউন্ট না থাকায় যক্ষ্মা রোগীকে চিকিত্সা ভাতা দেওয়া অনেকক্ষেত্রেই সম্ভব হয় না। তাই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রোগীর নাম জুড়ে দিলে এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে এবং দু’দিকে লাভ হবে। এই মুহুর্তে রাজ্যজুড়ে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার অ্যাকাউন্ট খোলা হচ্ছে। সেই অ্যাকাউন্টেই যক্ষ্মা রোগীর মাসিক চিকিত্সাভাতা বাবদ টাকা পৌঁছে যাবে। রাজ্যে বিভিন্ন রকম প্রকল্প চলছে।একটি অ্যাকাউন্ট থাকলে সরকারের হিসাব রাখতেও সুবিধা হবে।’
স্বাস্থ্য দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২০১৯-২০ আর্থিক বছরে যক্ষ্মা রোগীর মাসিক ভাতা বাবদ সরকারের কোষাগার থেকে ২৪ কোটি ২১ লক্ষ টাকা এবং ২০২০-২১ আর্থিক বছরে খরচ হয়েছে ১৬ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা। রাজ্যে নতুন যক্ষ্মা রোগী চিহ্নিত করতে বেছে নেওয়া হয়েছে বস্তিবাসী, ঘিঞ্জি এলাকা, কোলিয়ারি এলাকা, সংশোধনাগার-সহ বিভিন্ন এলাকা। এই সব এলাকায় আশা এবং অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা বিভিন্ন ওয়ার্ডে ক্যাম্প করবেন। টানা কাশি, সঙ্গে জ্বরের মতো উপসর্গ থাকলে থুতু পরীক্ষা করে যক্ষ্মা নির্ণয় করা হবে। গোটা বিষয়টি পর্যালোচনা করা হয়েছে।