সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

সম্প্রতি তৃ’ণ’মূ’লে’র দলী’য় পদ থেকে অপ’সা’র’ণ করা হল একা’ধিক নেতা কর্মী’কে

সম্প্রতি তৃ'ণ'মূ'লে'র দলী'য় পদ থেকে অপ'সা'র'ণ করা হল একা'ধিক নেতা কর্মী'কে

একুশের বিধানসভা মঞ্চে জয়লাভ করার জন্য রণনীতিতে একাধিক পরিবর্তন এনেছিল তৃণমূল। আবার দলের সাংগঠনিক স্তরের একাধিক পরিবর্তন আনা হয়েছিল। এর মধ্যে অন্যতম হলো মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি সিদ্ধান্ত, যে সিদ্ধান্ত অনুসারে এক ব্যক্তি একাধিক পদে থাকতে পারবেন না। সেই সিদ্ধান্তের রূপায়ণ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। সম্প্রতি এক ব্যক্তি এক পদ নীতিতে বেশকিছু পর থেকে বহিস্কৃত হলেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।

তৃণমূলের রাজ্য কমিটির সহ সভাপতি পদের পরিবর্তন এসেছে। নতুন সহ সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন শুভাশিস বটব্যাল এবং মহঃ সোহরাব। সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন গৌতম দাস, কৃষ্ণ কল্যাণী, শান্তিরাম মাহাত, রমেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, মিনতি অধিকারী, প্রতুল চক্রবর্তী, শওকত মোল্লা, কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী। রাজ্য কমিটির পাশাপাশি জেলা সভাপতি পদের ক্ষেত্রেও এক ব্যক্তি এক পদ নীতি চালু হয়েছে।

এছাড়াও পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে একাধিক নেতা কর্মীকে। উত্তর ২৪ পরগনার জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, পূর্ব মেদিনীপুরের সৌমেন মহাপাত্র, হাওড়া শহরের অরূপ রায়, হাওড়া গ্রামীণের পুলক রায়কে পদে থেকে সরাসরি অপসারণ করা হয়েছে। নদীয়া জেলার জেলা সভাপতি মহুয়া মৈত্রকেও তার পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে।

তৃণমূল দলের অভ্যন্তর সূত্রে খবর, মহুয়াকে নিয়ে স্থানীয় তৃণমুল শিবিরে ক্ষোভ দেখা দিয়েছিল। সাংবাদিকদের নিয়ে তার ‘দুপয়সার সাংবাদিক’ মন্তব্য নিয়েও বেজয় বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছিল। বিশেষত মহুয়ার আচরণগত ঔদ্ধত্য দলের অভ্যন্তরের একাধিক নেতাকর্মীর পছন্দ নয়। অতএব মহুয়াকে নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের বিষয়টিও এড়িয়ে যাওয়ার নয়।