সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

শক্তি ও শিবের মিলনের মহাউৎসব হ’লো মহাশিবরাত্রি, জানুন এই বি’শে’ষ দিনের মা’হা’ত্ম্য

আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ পালিত হবে চলতি বছরের শিবরাত্রি। কেন পালন করা হয় শিবরাত্রি আর কিবা অর্থ এর! শিব ও রাত্রি এই দুটি শব্দ জুড়ে এসেছে শিবরাত্রি। মহাদেবের উদ্দেশ্যে নিবেদিত এই রাত। অনেকেই জানেন না প্রতি মাসে একটি করে শিবরাত্রি পালন করা হয় তার মধ্যে বিশেষ হলেও এই ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষে চতুর্দশী তিথির শিবরাত্রি।

গোটা দেশে এই দিনটি ধুমধাম করে পালিত হয়। শুধুমাত্র ভারত নয় অন্যান্য দেশেও এই শিবরাত্রি পালনের প্রচলন রয়েছে। এদিন মহাদেবের আরাধনা করলে ভক্তদের সমস্ত মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হয়। হিন্দু ধর্মে মহাদেবকে বলা হয় ধ্বংসের দেবতা। আর দেবি পার্বতী হলেন সমস্ত সৌন্দর্য এবং শক্তির আধার।

এই দুই শক্তি যেদিন একই সূত্রে বাঁধা হয় সেদিন পালিত হয় শিবরাত্রি। এই দিন এই মহাদেব পার্বতীর বিবাহ সম্পন্ন হয়েছিল বলে মনে করা হয়।। প্রেম এবং শক্তি একে অপরের সঙ্গে মিলিত হয়। দেশের বিভিন্ন মন্দিরে এই শিবরাত্রি পালিত হয়। ভক্তরা ওম নমঃ শিবায় হর হর মহাদেব ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠেন।

আরো খবর: HAL-র নয়া হেলিকপ্টার কারখানার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

শিবরাত্রিতে সাধারণত নির্জলা উপবাস করেন ভক্তরা। অভিষেক করার পর শিবলিঙ্গে আরাধনা করা হয় জল দুধ মধু আখের রস এবং দই দিয়ে। স্বামী মঙ্গল কামনা করে এই দিনের উপবাস রাখেন মহিলারা আর কুমারী মেয়েরা ভোলানাথের মতন বর পাওয়ার তপস্যা করেন।

এক ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষে চতুর্দশী তিথিতে ব্যাধ বনের মধ্যে ঘুরে কোন শিকার পাননি। এরপরে তিনি রাতের বেলা ক্লান্ত হয়ে একটি গাছের উপর আশ্রয় নেয়। একটা একটা করে গাছের পাতা ছিঁরে তিনি নিচের দিকে ফেলেন। তিনি জানতেন না ওই গাছের তলায় রয়েছে একটি কালো পাথর আর তার মাথায় পড়েছে ওই পাতাগুলি।

ওই গাছটি হলো বেলগাছ। রাতের বেলা বেলের পাতা এবং শিশির পড়ে মহাদেবের মাথা ধৌত হয়ে যায়। তিনি আশীর্বাদ করেন ওই ব্যাধকে। ব্যাধের মৃত্যুর পর জমালয়ে এবং শিবালয় থেকে তাকে দূতেরা নিতে আসেন। শেষ পর্যন্ত নিজের ভক্তকে নিজের কাছেই নিয়ে যান মহাদেব।