রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেছিলেন তিনি তার আন্দোলন দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছিল অন্যান্য চাকরিপ্রার্থীরা। সেই ববিতা, এবার চাকরি খোয়ালেন। ববিতা সরকারকে মনে রাখেননি এমন মানুষ বোধ হয় হাতে গুণলেও পাওয়া যাবে না। আন্দোলনের একেবারে প্রথম দিকের মুখ চিনেন তিনি।
কলকাতা হাইকোর্টে তিনি মামলা করে তুমুল শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন তাও আবার মন্ত্রী কন্যার বিরুদ্ধে। রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর চাকরি তা নাকি সম্পূর্ণ বেআইনি। এমনটা দাবি করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি।
সেই সময় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে অঙ্কিতার চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দেন। এই মামলায় জয় হয় ববিতা সরকারের। এরপর অঙ্কিতার জায়গায় শিক্ষকতা করেন ববিতা। চাকরি থেকে বরখাস্ত করে ববি তাকে সেই চাকরি দেওয়া হয় এমনকি ববিতাকে সমস্ত মাইনে দেওয়া হয়।
কিন্তু ছয় মাসের মধ্যে চাকরি চলে গেল সেই ববিতা সরকারের। এখন তাকে ফেরত দিতে হবে সমস্ত অর্থ। তার বদলে চাকরি পেলেন অনামিকা রায়। ববিতা সরকারের চাকরি বাতিলের দাবি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অনামিকা।তার অভিযোগ, স্নাতক স্তরে ববিতা অনেকটাই কম নম্বর পেয়েছে অথচ একাডেমিক স্কোরে সেই নম্বর বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে।
স্নাতক স্তরে তিনি ৮০০ নম্বরের মধ্যে ৪৪০ পেয়েছিলেন। যেটা আদতে হয় ৫৫ শতাংশ কিন্তু এখানে দেখানো হয়েছে ৬০ শতাংশ। সে ক্ষেত্রে দুইজনের ভুল প্রমাণিত হয় একজন বিচারপতি আর অন্যজন মধ্যশিক্ষা পর্ষদ! সেই হিসেবে অনামিকার তুলনায় ববিতার রেংকিং অনেক পিছিয়ে যায়! এদিকে চাকরি যাওয়ার সংবাদে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন ববিতা সরকার।