জ্যোতিষশাস্ত্রে উল্লেখ আছে ১২ টি রাশি এবং ২৭ টি নক্ষত্র এবং ৯টি গ্রহের। এই পৃথিবীর সব মানুষের সাথেই রাশির যোগাযোগ আছে। প্রতি রাশির অধিকর্তা গ্রহও আলাদা। অর্থাৎ প্রতিটি গ্রহ মানব জীবনের ওপর নিজের প্রভাব বিস্তার করে থাকে। আর রাশির উপরই নির্ভর করে ওই ব্যক্তির চরিত্র, ব্যক্তিত্ব, স্বভাব এমনকি ব্যক্তির দাম্পত্য জীবন।
নবগ্রহের মধ্যে মঙ্গল হল একটি গ্রহ। জ্যোতিষ অনুযায়ী মঙ্গল হল নবগ্রহের সেনাপতি। এছাড়া এই গ্রহ কোনো জাতকের কোষ্ঠীতে ভাই-বোনের প্রতিনিধিত্বও করে। কোষ্ঠীতে মঙ্গলের অবস্থান যদি ঠিকঠাক না থাকে তাহলে সেই ব্যক্তিকে পড়তে হতে পারে নানান পারিবারিক সমস্যার কবলে।
জানেন কি কোনো জাতকের কোষ্ঠীতে মঙ্গলের অবস্থান যদি সঠিক না হয় এবং মঙ্গল যদি দুর্বল হয় তাহলে তার জীবনে কী কী সমস্যা আসতে পারে। আজকের প্রতিবেদনে সেটিই হল আলোচনার মূল বিষয়। মঙ্গল দুর্বল হলে জাতকের দাম্পত্য জীবনে দেখা দিতে পারে নানান সমস্যা।
আরো পড়ুন: ফে’র জ্যাক স্প্যারোর চরিত্রে অভিনয় করার জন্য জনি ডেপকে ২৫৩৫ কোটি টা’কা’র প্রস্তাব
জাতক যদি মাঙ্গলিক হয় তাহলে জাতকের বিবাহ হতে দেরী হয় এবং বিবাহের ক্ষেত্রে নানান বাধা উৎপন্ন হয়। জাতক শত্রুর সঙ্গে ঋণ, জমি সংক্রান্ত বিবাদ ইত্যাদিতে জড়িয়ে পড়ে। জাতক আইন-আদালতের মামলায় জড়িয়ে পড়তে পারে। বড় ভাইয়ের সঙ্গে যে কোনো ছোট কারণ থেকে বড়সড় বিবাদ বাঁধতে পারে।
এমনকি দম্পতিদের সন্তান লাভেও নানান সমস্যা আসে। এছাড়া মঙ্গলের দুর্বল অবস্থানের কারণে অনেক সময় জাতকের চোখের সমস্যা হয়। সেই সাথে উচ্চ রক্তচাপ, গাঁটে ব্যথা, ফোড়া, লিভার স্টোন ইত্যাদি রোগে ভুগতে হতে পারে জাতকদের।
তবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক মঙ্গলকে কিভাবে মজবুত করবেন এবং সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
১. মঙ্গল দোষ থেকে মুক্তির সবথেকে লাভজনক একটি উপায় হনুমান চালিসা পাঠ। তাই প্রতিদিন হনুমান চালিসা পাঠ করা অত্যন্ত ভালো। সেই সাথে দুই বা তিন মাসে একবার বজবরংবলীকে সিঁদূর মাখানো চোলা পরালে মঙ্গলের নেতিবাচক অনেকাংশে হ্রাস পাবে এবং জাতকদের ওপর বজরংবলীর আশীর্বাদ বর্ষিত হবে।
২. জ্যোতিষ অনুযায়ী মঙ্গলবার লাল মুসুর ডাল, লাল মিষ্টি ও লাল ফল কোনও দরিদ্র বা অসহায় ব্যক্তিকে দান করলে মঙ্গলের নেতিবাচক ফলাফল কমানো যাবে এবং পরিবারে সুখ-শান্তি বিরাজ করবে।
৩. জ্যোতিষ মতে, মঙ্গল দোষ থেকে মুক্তির জন্য জাতকদের প্রতি মঙ্গলবার নিম গাছে জল অর্পণ করা উচিত। এর প্রভাবে মঙ্গল দোষের প্রভাব কমে আসবে এবং জাতকদের অর্থনৈতিক অবস্থা মজবুত হবে।
৪. জ্যোতিষ মতে, মঙ্গল দোষে পীড়িত জাতকদের আমিষ খাবার খাওয়া ঠিক নয়। কারণ তারা যদি আমিষ খাবার খান, তাহলে তাঁদের মঙ্গলের পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। আর তাতে মঙ্গলের রোষে পড়তে হতে পারে জাতকদের।