কথায় বলে, ভাগ্যের পরিবর্তনে ভিখারীও নাকি রাজা হয়, আবার রাজাকে তার রাজপ্রাসাদ ছেড়ে পথে এসেও দাঁড়াতে হতে পারে। ভাগ্যে বিশ্বাস কমবেশি সকলেরই আছে। আর জ্যোতিষ শাস্ত্র বলছে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন যখন তখন হতে পারে।
কেউ বলতে পারেনা কার কখন ভাগ্য পরিবর্তন হয়। জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে মানুষের হাতে এমন কিছু রেখা থাকে যার উপস্থিতিতে ব্যাক্তির জীবনে সুখ সমৃদ্ধি আসে। সেরকমই এক রেখা হল ‘বিষ্ণুরেখা’।
যাদের হাতে এই বিষ্ণু রেখা থাকে তাদের উপর ভগবান বিষ্ণুর কৃপা এবং আশীর্বাদ থাকে বলে মনে করা হয়। বিষ্ণু দেবের আশীর্বাদে তারা সমস্ত কাজে সফল হন। জোতিষ শাস্ত্র মতে বিষ্ণুরেখাধারীরা সর্বদাই সত্যের পথে চলেন এবং সত্যের অনুরাগী হন।
আরো পড়ুন: ২২০ টা’কা কেজি চাল, ২ হাজার টা’কা দুধের দা’ম! প্রবল খাদ্য স’ঙ্ক’ট প্রতিবেশী দেশে
বিষ্ণু রেখা দেখতে অনেকটা ইংলিশ অক্ষর ‘V’ এর মতো। গুরু পর্বতের উপরে যেখানে হৃদয় রেখার সমাপ্তি ঘটে, সেই সমাপ্তি পর্যায় থেকে একটি শিরা তর্জনী ও মধ্যমার মাঝখানে অবস্থান করে।
সেই স্থানটি থেকে আবার একটি শিরা হাতের তর্জনী হয়ে গুরু পর্বতের দিকে অবস্থান নেয় তাকেই বলা হয় ‘বিষ্ণু রেখা’।বিষ্ণুরেখার অধিকারীরা সদাসর্বদা পরিশ্রমের সঠিক মূল্য পান।
যে কাজ শুরু করেন সেই সব কাজই সম্পূর্ণ করেন। এমনকি এনারা ভুল কাজ করেও শান্তিতে থাকেন। এরা সমাজে বেশ জনপ্রিয় ও সম্মানিত। জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে বিষ্ণু রেখা ছাড়াও আরো বেশ কিছু রেখা মানুষের হাতে থাকে যেগুলিও অত্যন্ত শুভ মানা হয়, যেমন – শঙ্খ রেখা, ত্রিশূল রেখা, চক্র রেখা ও কমল রেখা।
শঙ্খ রেখার অধিকারীদের উপর প্রভু বিষ্ণুর কৃপা থাকে। ত্রিশূল রেখা কারোর হাতে থাকলে মনে করা হয় তিনি শিব ঠাকুরের কৃপা দৃষ্টি পান। কমল রেখা যাদের থাকে তাদের উপর মা লক্ষ্মীর কৃপা দৃষ্টি বজায় থাকে। তার কখনো ধন সম্পদের অভাব হয় না।
