সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

ফের ভু’য়ো কল সেন্টারের হ’দি’শ মিললো শহরের বু’কে, গ্রে’ফ’তা’র ১২

বর্তমানে শহরের বুকে ভুয়ো কল সেন্টারের ব্যবসা একেবারে রমরমিয়ে চলছে। ভুয়ো কল সেন্টার খুলে প্রতারণার অভিযোগ আজকের নয়। ভুয়ো কল সেন্টারের মাধ্যমে কখনও মোবাইল টাওয়ার বসানোর নাম করে আবার কখনও বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রতারণা চলছে। এরকমই আরও এক ভুয়ো কল সেন্টারের খোঁজ পেয়েছেন গোয়েন্দারা। এরূপ ঘটনার অভিযোগে কলকাতা পুলিশের গুন্ডা দমন শাখার গোয়েন্দারা হাতেনাতে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তল্লাশি চালানো হয়েছে এবং তার ফলস্বরূপ ৪১/এ ডায়মন্ড হারবার রোড থেকে অভিযুক্তরা গ্রেপ্তার হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরেই তারা এই কাজ করছিল। এই সংগঠনটির নেতৃত্বে রয়েছে মুহাম্মদ নঈম নামে এক যুবক। ধৃতদের মধ্যে অধিকাংশেরই বাড়ি একবালপুরে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছে এই চক্র। মাসখানেক আগেই কলকাতার থানার কাছে প্রতারিত এক ব্যক্তি নিজের অভিযোগ জানান। সেই অভিযোগ পাওয়ার পরে স্বতঃস্ফূর্ত মামলা রুজু করে কলকাতা সাইবার থানা। সাইবার থানা থেকে ঘটনা তদন্তের জন্য মামলাটি পাঠিয়ে দেওয়া হয় গুন্ডা দমন শাখায়। এরপরেই প্রতারণার এই চক্র ফাঁস করতে তদন্তে নেমে পড়েন গোয়েন্দারা। তাদের ওপর কড়া নজরদারি চালানো হয়েছে। প্রতারকদের সেখানে থাকার খবর পেয়েই বৃহস্পতিবার রাতে ওই বাড়িতে হানা দেন গুন্ডা দমন শাখার গোয়েন্দারা । সেখান থেকে ১২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একাধিক নথিপত্র, কম্পিউটার, হার্ডডিস্ক এবং মোবাইল। ধৃতদের বিরুদ্ধে প্রতারণা, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত তারা। এই কারণবশত ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। শুক্রবার তাদের আলিপুর আদালতে তোলা হয়। বিচারক ধৃতদের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

শুধু এই ঘটনাই নয়, মাত্র কয়েকদিন আগেই বাগুইআটিতে মহিলাদের দ্বারা চালিত ভুয়ো কল সেন্টারে পুলিশ হানা দিতে গ্রেফতার হয় তিন জন মহিলা। যার মধ্যে দুজন আবার প্রাক্তন আর্মি অফিসারের কন্যা। তাহলেই ভাবুন, এই চক্র যে শুধুমাত্র যুবকরাই চালাচ্ছে তা নয়, পাশাপাশি যুবতীরাও এই ধরণের চক্রে লিপ্ত হয়েছেন।