সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

ওভারলোড ট্রাক ধ’র’লে’ই পারমিট বা’তি’ল, হুঁ’শি’য়া’রি দিলেন ফিরহাদ হাকিম

রাজ্যজুড়ে ফের বাড়ল ওভারলোডিংয়ের প্রবণতা। আর তার জেরেই স্বাভাবিকভাবে ক্ষুব্ধ রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তাঁর কথায়, ওভারলোডেড ট্রাক ধরা পরলে এবার তার পারমিট বাতিল করবে সরকার। প্রয়োজনে সিজও করা হতে পারে ট্রাকটিকে। সরকার গোটা আইনি বিষয়টা খতিয়ে দেখছে। আর এই ঘটনায় কয়েকজন অফিসারও যে যুক্ত রয়েছেন সোমবার তারও পরোক্ষ উল্লেখ করলেন পরিবহণমন্ত্রী।

সোমবার পরিবহণমন্ত্রীর কসবায় দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক ছিল। বৈঠক শেষে তিনি বলেন, “রাজ্যের বেশ কয়েকটি জায়গায় ফের ওভারলোডিং শুরু হয়েছে। বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদে বেশি হচ্ছে। আমি পরিবহণ সচিবকে ওইসব এলাকার অফিসারদের থেকে জবাবদিহি চাইতে বলেছি, কী কারণে এই ওভারলোডিং আবার শুরু হল! আর কোন কোন খাদান থেকে এই বাড়তি লোড নেওয়া হচ্ছে সেগুলোও আমরা নজরে রাখছি। শুধু পরিবহণ দপ্তর নয়, আমাদের পুলিশ এবং অন্যান্য দপ্তরকেও আমরা এ বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে বলব।”

রাজ্যে ওভারলোডিং কমাতে এর আগে একগুচ্ছ পদক্ষেপের পাশাপাশি জরিমানার পরিমাণও বাড়িয়েছিল পরিবহণ দপ্তর। তাতে কিছুটা কম হয়েছিল ওভারলোডিংয়ের প্রবণতা। কিন্তু কয়েকমাস ধরে আবারও আগের ছন্দেই ফিরেছে ট্রাকগুলো। এদিন ফিরহাদ হাকিম নিজের হোয়াটস আপ নম্বর দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন করেন, যাতে তারা ওভারলোডেড গাড়ি দেখলেই তার নম্বরে গাড়ির নাম্বার আর জায়গার নাম দিয়ে ছবি তুলে পাঠান।

মন্ত্রী আরও বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী নিজে চাইছেন ওভারলোডিং বন্ধ হোক। রাজ্যের টাকা জলে চলে যাচ্ছে। ওভারলোডিংয়ের কারণে রাজ্যের বিভিন্ন রাস্তার দাঁত বেরিয়ে যাচ্ছে। ভেঙে চুরমার হয়ে যাচ্ছে রাস্তা। এছাড়া এই কাজ যারা করছে এবং প্রশাসনের যারা তাতে মদত দিচ্ছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। কারণ পশ্চিমবঙ্গ সরকার ওভারলোডিং চলতে দেবে না।”