সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

জে’নে নিন মা দুর্গা’র দশ হা’তে’র দশ’টি অ’স্ত্রে’র মা’হা’ত্ম্য কথা

মহামারীর মধ্যেই আবার এসে গেল বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজা। বাঙালি মৃত্যুভয় উপেক্ষা করে উৎসবের সাজে সেজে উঠতে চলেছে। তবে আজ আপনাদের জানাবো আমাদের মা দুর্গার দশটি হাতে যে দশটি অস্ত্র থাকে সে গুলি কোন কোন দেবতা দিয়েছেন।

প্রথমে কথা বলব ত্রিশূলের। আদিশক্তি মহামায়ার হাতের ত্রিশূল আমরা দেখতে পাই তা তুলে দিয়েছিলেন তার স্বামী মহাদেব। ত্রিশূলের তিনটি ফলার আলাদা আলাদা অর্থ আছে।

মা দুর্গার হাতে যে শঙ্খ দেখা যায় তা দিয়েছিলেন বরুণদেব। শঙ্খ হলো সৃষ্টির প্রতিক। পুরান মতে শঙ্খ থেকে উৎপন্ন শব্দেই প্রাণের সৃষ্টি হয়েছিল আমাদের পৃথিবীতে।

চক্র: মা দুর্গার হাতে চক্র তুলে দিয়েছিলেন স্বয়ং বিষ্ণুদেব। এই চক্রগুলো আবর্তন যার অর্থ, সমস্ত সৃষ্টির কেন্দ্র।

গদা: মৃত্যুর প্রতীক যমরাজ এই গদা দিয়েছিলেন মাকে। এটি ভালোবাসা এবং ভক্তির প্রতীক।

পদ্ম: দেবীর হাতে এটি তুলে দিয়েছিলেন ব্রহ্মা। পাকে জন্মালেও পদ্ম যে কতটা সুন্দর তা আমরা সকলেই জানি। তেমনই মায়ের আশীর্বাদে অন্ধকারের মধ্যেও জয়জয়কার শুনতে পাওয়া যায় । অশুভ শক্তির বিনাশ হয়।

বজ্র অথবা অশনি: দেবরাজ ইন্দ্র এই অস্ত্র দিয়েছিলেন মাকে। মা দুর্গার হাতে এই বজ্র দৃঢ়তা এবং সংহতির প্রতীক। এই দুটি গুণের মাধ্যমে অন্যায়কে বিনাশ করেন মা দুর্গা।

সাপ: শেষ নাগ মাকে দিয়েছিলেন নাগহার। এটি বিশুদ্ধ চেতনার প্রতীক। চেতনার নিম্ন স্তর থেকে উচ্চ স্তরে প্রবেশ এবং বিশুদ্ধ চেতনাকে জাগিয়ে তোলার প্রতীক।

তরোয়াল: এই তলোয়ার হলো মানুষের বুদ্ধির প্রতীক। এর মাধ্যমে সমস্ত বৈষম্য এবং অন্ধকারকে ভেদ করতে পারে মানুষ।

তীর ধনুক: সরণ বাসুদেব দিয়েছিলেন এই অস্ত্রটি। ইতিবাচক শক্তির প্রতীক হিসেবে আমরা মনে করতে পারি এই অস্ত্রকে।

অগ্নি: অগ্নিদেব দিয়েছিলেন এই অস্ত্র। এটি জ্ঞান এবং বিদ্যার প্রতীক

এই সমস্ত অস্ত্রের দ্বারা মা দুর্গা বধ করেছিলেন মহিষাসুরকে এবং আমাদের পৃথিবীতে অন্যায়ের হাত থেকে রক্ষা করেছিলেন।