এবার থেকে বন দফতরের নতুন নিয়ম, ব্যাক্তিগত গাছ থাকলেও কিন্তু অনুমতি নিয়েই গাছ কাটতে হবে গাছের মালিককে। শিল্পোন্নয়ন গড়ে তোলার জন্য ইতিমধ্যেই গাছ কেটে সাফ করে দেওয়া হচ্ছে। যার কারণেই প্রাকৃতিক ভারসাম্য দারুণভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এবার পরিবেশকে রক্ষা করতে নতুন আইন আনলো বন দফতর।
ব্যাক্তিগত মালিকানায় গাছ থাকা সত্ত্বেও গাছ কাটার সময় অনুমতি নিতে হবে,রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানিয়েছেন এই কথা। এতদিন আসলে ব্যাক্তিগত গাছ কাটার জন্য কেবলমাত্র স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি নিলেই হয়ে যেত। কিন্তু এসব এখন অতীত, এবার থেকে নিতে হবে বন দফতরের অনুমতি।
এর সাথে উন্নয়ন মূলক কাজের ক্ষেত্রেও যাতে গাছের কোনো ক্ষতি না করে অন্যত্র সড়িয়ে কাজ করা যায় সেই পথ অবলম্বন করতে হবে। বিভিন্ন ধরনের যন্ত্র রয়েছে এখন, সেই সবকে কাজে লাগিয়ে গাছকে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় নিয়ে যাওয়া হবে, কোনো ক্ষতি না করে। ইতিমধ্যেই পরিবেশ দূষণ যা বেড়েছে তা বলার মতো না।
কোনো ভাবেই গাছ কেটে প্রাকৃতিক ভারসাম্য আর নষ্ট করা যাবে না। তাই বন দফতর এই বিষয় নিয়ে এখন কড়া ভূমিকা গ্রহণ করেছে। এখন থেকে যদি কোনো পদক্ষেপ নেওয়া না হয় তাহলে আগামীতে আরও খারাপ পরিস্থিতির সম্মুখীন হবে মানুষ। বিশেষ করে বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণে সমুদ্রের জল স্তর অনেকটাই বৃদ্ধি পাচ্ছে। তার মধ্যে বায়ু দূষণ সমস্ত কিছুর মতো সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে মানুষ। তাই গাছই আমাদের এই সব থেকে বাচাতে পারে। তাই গাছ কাটতে গেলে হাজার বার এখন ভাবতে হবে সবাইকে।