মানুষের জীবনে বাস্তুর ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাস্তুশাস্ত্রবিদদের মতে,বাস্তুবিধি ঠিক মতো মেনে না চললে ভুগতে পারেন মানসিক-শারীরিক সমস্যায়। এমনকি বাস্তু যদি না মানা হয় তাহলে আর্থিক ক্ষতিও হতে পারে।
বাস্তুমতে, বাড়ি, অফিস বা দোকানে পুজোর ঘর কোথায় বানানো উচিত সেই সম্পর্কে নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। আর সেই নিয়ম না মানলে ঘরে অর্থের দেবী লক্ষ্ণী বিরাজ করেন না। তিনি অসন্তুষ্ট হন।ফলস্বরূপ সংসারে আর্থিক অনটন শুরু হয়। সেজন্য বাস্তু মেনে ঠাকুর ঘর বানানো উচিত।
এছাড়া দেব-দেবীর কী রকম ছবি ঠাকুর ঘরে কোথায়, কীভাবে লাগাতে হবে তারও কিছু নিয়ম আছে। কোন কোন দেব-দেবীর বসা ছবি বাড়ি, দোকান বা অফিসে লাগানো একেবারেই উচিত নয় তারই পরামর্শ দিয়েছেন বাস্তুবিদ কমল নন্দলাল। চলুন দেখে নেওয়া যাক –
বাস্তুমতে, গণেশ, সরস্বতী ও লক্ষ্মীর বসা অবস্থার ছবি ঘরে রাখা উচিত নয়। বাস্তুমতে, এই ছবি লাগালে দেব-দেবীরা রুষ্ট হন। এতে পরিবারের অমঙ্গল হয়। এমনকি একই দেবতার একাধিক মূর্তি বা ছবি পাশাপাশি রাখা যাবে না।
কোনো ঠাকুরের ছবির ফ্রেম যদি ভেঙে যায় বা ছবি যদি ছিঁড়ে যায় তাহলে তা বাড়ি থেকে সরিয়ে ফেলুন। এতে বাড়িতে ভীষণ ভাবে নেগেটিভ শক্তি বেড়ে যায়। কোনো চটে যাওয়া দেওয়ালের কাছে ঠাকুরের মূর্তি বা ছবি রাখাই উচিত নয়।
বাস্তুবিদ কমল নন্দলাল বলেছেন যে, প্রতিদিন সন্ধেবেলা ঘরে প্রদীপ জ্বালালে এবং সেই সঙ্গে কর্পুর জ্বালালে বাড়িতে পজিটিভ শক্তি বিরাজ করে।
