সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

গণেশ পুজোয় সিঁদুরের কি গু’রু’ত্ব জানেন?

আমরা সকলেই জানি যে হিন্দু শাস্ত্র মতে এই যে আমরা ৩৩ কোটি দেবতার পুজো করে থাকি তাদের মধ্যে সবার প্রথমে পুজো করা হয় গণেশ ঠাকুরকে এবং যাকে বিঘ্ন হরতা নামেও আমরা চিনি। সমস্ত রকম জীবনের বাধা, বিপত্তি দূর করার ক্ষেত্রে সিদ্ধিদাতা গণেশকে আমরা পুজো করে থাকি। কিন্তু জানেন কি যে কিভাবে কোন কোন জিনিস দিয়ে সিদ্ধিদাতা গণেশকে পুজো করলে তিনি সন্তুষ্ট হন।

আমরা প্রত্যেকেই জানি যে গণেশ পূজোয় বিশেষ জিনিসগুলো জবা ফুল এবং দূর্বা তবে সেই ক্ষেত্রে আরেকটি বিশেষ জিনিস আছে যেটি সিদ্ধিদাতার ভীষণ পছন্দ এবং সেটি হল মোদক, এটি তার পছন্দের খাবারের মধ্যে প্রথম। তবে গণেশ ঠাকুরের পুজো করার ক্ষেত্রে আরেকটি বিশেষ জিনিস আছে সেটি হলো সিঁদুর।

গণেশ পূজার ক্ষেত্রে যদি সিঁদুর ব্যবহার করা হয় তবে সেক্ষেত্রে দুঃখ-দুর্দশা বাধা সমস্ত কিছুকে দূরে রাখা সম্ভব হয়ে থাকে। গণেশ ঠাকুরকে এই সিঁদুর দানের ক্ষেত্রে সবথেকে শুভ সময় হল ফাল্গুন মাস। হোলির পরের দিন যদি গণেশ পুজোর জিনিসপত্রের মধ্যেই সিঁদুর রাখা হয় তবে শারীরিক কোনো সমস্যা থাকলে তা দূর হয়। কিন্তু অবশ্যই নিয়ম মেনেই সিঁদুর দান করা উচিত। এবার আসুন জেনে নেই কিভাবে কোন নিয়মে আপনি এই পুজো করলে সিদ্ধিদাতা খুশি হবেন।

স্নান করে একটি হলুদ রংয়ের পোশাক পরুন এবং তারপরই একটি পাএের মধ্যে তেলে সিঁদুর মিশিয়ে সেটা রুপোর অথবা সোনার কয়েন এর মধ্যে লাগিয়ে রাখুন। আপনি যে কোনদিনই করতে পারেন এই পুজো করতে করতে আপনাকে একটি মন্ত্র উচ্চারণ করতে হবে সেটি হল “সিঁদুর শোভনং রক্তং সৌভাগ্য সুখবর্ধনম। শুভদং কামদং চেব সিন্দুরং পতিগৃহাতম”। সিঁদুর ছাড়াও আপনি পুজোতে ব্যবহার করতে পারেন শঙ্খ, দুব্বা, ধুতরা ফুল। বাড়ির কোনদিকে গণেশ ঠাকুরকে প্রতিষ্ঠা করবেন সেটি কিন্তু অবশ্যই বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ, এর ফলে আর্থিক এবং মানসিক দিক থেকে শান্তি বুঝিয়ে থাকে। অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যে পুজো করার সময় আপনার মুখ যেন উত্তর অথবা পূর্ব দিকে থাকে।