কসবার ভুয়ো আইএএস অফিসার দেবাঞ্জন দেব সম্পর্কে একের পর এক তথ্য ফাঁস হচ্ছে। তদন্তকারী অফিসারদের তদন্তের জেরে উঠে আসছে বহু চাঞ্চল্যকর তথ্য। এবার জানা গেল দেবাঞ্জন দেব নাকি পুরসভায় হেড ক্লার্ক পদে নিয়োগ পত্র দিয়েছেন। বহু মানুষকে কাজ পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন ইন্দ্রজিৎ সাউ নামের এক ব্যক্তি।
পুরসভার হেড ক্লার্ক পদে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল ইন্দ্রজিৎ সাউকে। পুরসভার হেডক্লার্ক হিসেবেই নাকি দুমাস কাজ করেছেন তিনি। তার দরুন পেয়েছেন সাড়ে ২৩ হাজার টাকা মাসিক বেতন! তবে তার এই চাকরি স্থায়ী ছিল না, এ কথা তিনি আগে থেকেই জানতেন। তিনি তদন্তকারী অফিসারদের জানিয়েছেন, দেবাঞ্জন দেব তাকে পার্মানেন্ট চাকরি দেওয়ার নামে তার থেকে আড়াই লক্ষ টাকা চেয়েছিলেন। তিনি সেই টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাকে ক্যাজুয়াল হিসেবেই নেওয়া হয়েছিল।
এমনই সব চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠছে দেবাঞ্জন দেবের বিরুদ্ধে। এছাড়াও পুরসভাতে চাকরী দেওয়ার নাম করে বহু মানুষকেই আশ্বাস দিয়েছেন দেবাঞ্জন। বেশ কিছু মানুষকে চাকরির নিয়োগপত্র দিয়েছিলেন তিনি। সেগুলি যে জাল ছিল তা এক মুহূর্তের জন্যেও ধরতে পারেননি কেউ। এখন যখন দেবাঞ্জন দেবের কীর্তিকলাপ একে একে প্রকাশ্যে আসছে তখন এমন চাঞ্চল্যকর বহু তথ্য ফাঁস হচ্ছে তার বিরুদ্ধে।
প্রসঙ্গত দেবাঞ্জন দেব ২০১৮ সালে আই এস পরীক্ষার রেজাল্ট বেরোনোর পর পরিবার পরিজনদের জানিয়েছিলেন যে তিনি উত্তীর্ণ হয়েছেন পরীক্ষায়। তবে তিনি সেইসময় উত্তীর্ণ হতে পারেননি। কিন্তু তখন থেকেই তিনি পরিবার-পরিজন আত্মীয়-স্বজনকে মিথ্যা কথা বলতে শুরু করেন। ভাড়া করা গাড়িতে নীল বাতি লাগিয়ে, বিশ্ব বাংলার স্টিকার লাগিয়ে তিনি হয়ে উঠেছিলেন ডুপ্লিকেট আইএএস অফিসার। এতই নিখুঁতভাবে তিনি সব কাজ করতেন যে তার বিরুদ্ধে কোনদিনও সন্দেহ হয়নি কারোর।